১৪ মার্চ আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ উপলক্ষে দোহারে দেখা দিয়েছে তীব্র যানবাহন সংকট। জানা গেছে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব বাস সমাবেশের জন্য আগে থেকেই ভাড়া করার ফলে এই সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে সাধারন যাত্রীসহ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। উল্লেখ্য গত ১২ মার্চ বিএনপির মহাসমাবেশ উপলক্ষেও দুই দিন গাড়ি বন্ধ ছিল।
১২ মার্চ বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে নেয়া হয়েছিল নজির বিহীন ব্যবস্থা। সারা বাংলাদেশ থেকে সেদিন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল রাজধানী ঢাকা। প্রতিটা বাসস্ট্যান্ডে লাইনে লাইনে বাস পড়ে থাকলেও একটা বাসও সেদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় নি। বাস মালিকদের মতে প্রশাসনের চাপের কারনে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কারনে তারা সেদিন বাস ছাড়তে পারে নি। ঠিক তার দুই দিন পরেই আওয়ামী লীগের সমাবেশের জন্য সারা দোহারে ৬০ টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। যার জন্য ১২ তারিখের সম্পূর্ন বিপরিত চিত্র দেখা গেছে ১৪ মার্চে। আজ ঢাকা যাবার জন্য মানুষ গাড়ি পাচ্ছে না। তেমনই একজন ভুক্তভুগি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এজাজ। আজ তার একটা এ্যসাইনমেন্ট জমা দেবার কথা থাকলেও বাসের অভাবে তিনি যেতে পারেন নি ঢাকাতে। এরকম আরেক ভুক্তভুগি কামাল হোসেন। তার সাথে কথা বলে জানা যায় তার ভাই আজ বিদেশ থেকে দেশে এসেছে কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে তিনি কোন গাড়ি ভাড়া করতে পারছেন না। আর ঢাকা থেকেও দোহার গামী কোন গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তিনি এয়ারপোর্টে আটকে পড়েছেন। এরকমই এক সংকট চলছে দোহারের পরিবহন সেক্টরে। যার আশু সমাধান চায় জনসাধারন।