অবশেষে দোহার উপজেলার ভাঙনকবলিত এলাকায় বহু প্রত্যাশিত বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার। উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নের অরঙ্গবাদ থেকে বাহ্রা ঘাট অবধি ৩.০৫ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছে।

প্রকল্পটির বরাদ্দ পাওয়ার পরও দীর্ঘদিন নানা জটিলতায় বাঁধের নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ও দ্রুত নদীর অব্যাহত ভাঙন রোধে গত বুধবার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বাঁধ নির্মাণের প্রথম ধাপ নদী তীরে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার প্রাথমিক কাজের উদ্বোধন করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার মো. কায়কোবাদ, এসও আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, টাক্স ফোর্স প্রধান কাজী তোফায়েল আহম্মেদ, টাক্স ফোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, নৌবাহিনীর প্রতিনিধি প্রাঃ লেঃ (অব.) আবুল বাশার, নয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদ হান্নান, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হুসেইন এন্ড সন্সের চেয়ারম্যান ব্রিঃ জেঃ (অব.) আহমেদ সেলিম এবং ব্রিঃ জেঃ (অব.) মো. ফজলুর রশিদ মৃধা, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক এমএ হালিম, সাব-কন্ট্রাক্ট নেয়া প্রতিষ্ঠান দোহার এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুল আওয়াল, রাব্বী এন্টারপ্রাইজের মালিক আলমগীর হোসেন প্রমুখ। গত সপ্তাহে ঝটিকা সফরে নির্মাণাধীন বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্পখাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সে সময় তিনি দ্রুত বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়ে যান বলে জানা গেছে।

অন্য খবর  প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছেন ২৪০ কোটি টাকা নদী ভাঙনরোধে দেবেন: সালমান রহমান

জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাঁধটির নির্মাণ কাজ শেষ করবে বলে জানা গেছে, যা শেষ করতে তিন বছর সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এখন বরাদ্দকৃত সেই অর্থের ১৮৮ কোটি টাকার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. কায়কোবাদ। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় ও তার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা, দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, অবশিষ্ট বাঁধের ৭.০৫ কিলোমিটার অংশের কাজের সার্ভে শেষ করা হয়েছে। দ্রুত বাঁধটির নির্মাণ কাজ শেষ করে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল এমপিসহ বিশিষ্টজনদের।

আপনার মতামত দিন