দোহারে নানার বাড়িতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

342

হাসান বিন আমজাদ: বুধবার (২৯ আগস্ট ) দোহারে সকালে মর্মান্তিকভাবে পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে রাফিয়া ইসলাম নামে ৪ বছর বয়সী এক শিশুর। তার মায়ের নাম শাহিদা খানম। তিনি লালমাটিয়া মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান। রাফিয়ার নানা বাড়ি দোহারের নারিশা ইউনিয়নের নারিশা খালপাড়ে। আর দাদার বাড়ী পিরোজপুর শহরে। ঢাকার মোহাম্মদপুর সে বাবা মা’র সাথে থাকতো। ঘুরতে সে নানী বাড়ি এসেছিলো।

এলাকাবাসী জানায়, সকালে রাফিয়ার মামা নারিশা বাজারে গিয়েছিলো। সেসময় তার নানী ঘরের কাজে ব্যাস্ত ছিলো। এসময় ছোট্ট রাফিয়া খেলতে খেলতে নারিশা খালপাড়ের খান বাড়ির পুকুর ধারে চলে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, খেলতে গিয়ে সে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। এসময় আরেক শিশু দৌড়ে এসে আধো আধো কথায় তার বাড়ীতে তার ডুবে যাওয়ার কথা জানায়৷ পরে, বাড়ী থেকে লোকজন এসে পুকুরে কিছু দেখতে না পেয়ে পানিতে নেমে তল্লাশি চালায়। এসময় তারা রাফিয়াকে পুকুরের তলদেশ থেকে উদ্ধার করে। দ্রুত তাকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে, এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে রাফিয়ার মা তার নিজ কর্মস্থল থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

অন্য খবর  দোহার উপজেলা চেয়ারম্যানের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্বার্শবর্তী মসজিদের ইমাম আবু হানিফা রাফিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে জানান, হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, শহীদ পাঁচ প্রকার। যেমন—১. প্লেগ বা মহামারিতে মৃত্যুবরণকারী, ২. পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী, ৩. পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী, ৪. কুপে পড়ে মৃত্যুবরণকারী ও ৫. আল্লাহর রাস্তায় শহীদ। আল্লাহ সুবহানুতায়ালা এই শিশুকে জান্নাতুল ফেরদৌসের জন্য কবুল করুন। তার পরিবারের জান্নাতের ওসিলা এই শিশুকে করে দিন, আমীন।

আপনার মতামত দিন