দোহার ঢাকা প্রতিনিধি: ঢাকার দোহারে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। মাঝে কিট না থাকায় উপজেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনদিন (সোমবার – বুধবার) বন্ধ ছিল ডেঙ্গু পরীক্ষা । এতে জ্বরে আক্রান্তদের বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে অতিরিক্ত টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হয়ে ছিল।
গতকাল শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব ইনচার্জ গৌতম চন্দ্র মন্ডল।
তিনি নিউজ৩৯কে বলেন, ‘সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গু টেস্টের কিট আমাদের হাসপাতালে ছিল না। কিট না থাকায় ঐ তিনদিন ডেঙ্গু টেস্ট করা হয়নি।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ডেঙ্গু পরীক্ষার ১১২০টি কিট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একবার ৪০০ ও পরবর্তী সময়ে আরও ৩২০ এবং সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে ৪০০ কিট পাওয়া যায়। এদিকে প্রতিদিন এই হাসপাতালে ৪০-৫০টি কিটের প্রয়োজন হয় ডেঙ্গু পরীক্ষায়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, বমি ও ঠান্ডা নিয়ে অনেক রোগী আসছেন। তাঁদের অনেককেই ডেঙ্গু টেস্ট দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাই তারা দ্রুত পরীক্ষার ফলাফল পেত ছুটছেন হাসপাতালসংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু টেস্ট করাতে।
জয়পাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কথা হয় রাহিমা আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে। তিনি নিউজ৩৯কে বলেন, ‘বাচ্চাকে ডাক্তার দেখালে ডেঙ্গু টেস্ট করাতে বলেন। হাসপাতালে টেস্ট করাতে না পেরে এখানে আসছি।’
দোহার উপজেলার দুবলী গ্রামের সুমন হোসেন বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে ডাক্তার ডেঙ্গু টেস্ট করাতে বলেন। তাই আমি কম টাকায় জন্য এই সরকারি হাসপাতালে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য।
উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জসিমউদদীন নিউজ৩৯কে বলেন, ‘কিটের চাহিদা অনেক। তিন দিন আমাদের কিট শেষ হয়ে গিয়েছিল। ফের চাহিদাপত্র পাঠালে দ্রুত তার ব্যবস্থা হয়। আমাদের এই কিট শেষ হলে আবারো পাবো বলে আশাবাদী। আমাদের হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে ৫০ টাকা লাগে এবং বাহিরের হাসপাতালে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগে। তবে আমরা সব হাসপাতাল গুলোকে বলেছি ৩০০ টাকা করে রাখতে।
তিনি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে ২২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। তাদেরকে আমরা সব ধরনের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দোহারে এমাসে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।