দোহারে ডাবের পিছ দুই,শ টাকা

234
দোহারে ডাবের পিছ দুই,শ টাকা

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি শরীফ হাসান : ঢাকার দোহার উপজেলায় বড় সাইজের প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা করে। এছাড়া ছোট সাইজের ডাব ১৫০ টাকার কমে মেলে না।

বিক্রেতাদের দাবি, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির কারণে রোগীর অন্যতম পথ্য ডাবের চাহিদা বেড়েছে। আর এতে ডাবের বাজারে সরবরাহ সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এছাড়াও এখন ডাবের সিজন না থাকায় এবং গাছে ডাব কম সে কারণে দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।

দোহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার ও হাসপাতালের সামনের সড়ক ঘুরে দেখা যায়, অস্থায়ী ডাবের দোকানগুলোতে ছোট ও মাঝারি সাইজের ডাব ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় ডাব বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়।

জয়পাড়ার পাইকারি ও খুচরা ডাব বিক্রেতারা জানান, দোহারের বেশির ভাগ ডাব আসে গ্রামের গাছগুলো থেকে। আষাড়-শ্রাবণ মাসে গাছে ডাব কম থাকে। এছাড়া টানা কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে গাছে উঠে ডাব নামানো যাচ্ছেন না। এসব কারণে বর্তমান বাজারে চাহিদার তুলনায় ডাবের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ডাবের চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে আরও কয়েকগুন বেড়েছে। আমরা প্রতি পিস ডাব আকার ভেদে ৭০-১৫০ টাকা করে কিনি। মোবাইলের টাওয়ারের কারণেও সুন্দর ভালমানের ডাব পাওয়া দুষ্কর হয়ে পরেছে।

অন্য খবর  ঘরে তালা দিয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার-২

জয়পাড়া ক্লিনিকের সামনে ডাব বিক্রি করেন মানিক কাজী । তিনি বলেন, আগে কখনো ২০০ টাকায় একটি ডাব বিক্রি করিনি। এখন বাজারে ডাবের সরবরাহ কম। শ্রাবণ মাসে ডাব খুব কম হয়। এছাড়া দেশে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় সচেতন মানুষরা বেশি বেশি ডাব কিনছেন। তাই চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। দাম বাড়ার পেছনে এটাও একটা কারণ।
তিনি আরো বলেন, যখন ডাব না পাওয়া যায় তখন আমরা খুলনা,ঢাকা,বরিশাল, ফরিদপুর থেকে ডাব আমদানি করে থাকি। তবে আগামী ২/১ মাসে ডাবের দাম আরো কমে যাবে।

দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাশে ডাব বিক্রেতা এরশাদ আলী বলেন, ‘অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন ডাব আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারেই একটি ডাবের দাম পড়ে যাচ্ছে ৮০-১৫০ টাকা। এরপর পরিবহন খরচ, রাস্তা খরচ, সারা দিনে ভ্যান খরচসহ সব মিলে ডাব ২০০ টাকাতেও বিক্রি করলে বেশি লাভ থাকে না।

তিনি বলেন, ‘এছাড়া মাঝারি ডাব পাইকারি বাজারে এখন প্রতি ১০০ পিস কিনিতে হচ্ছে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায়। সেই সঙ্গে ছোট ডাব ১০০ পিস বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকায়। এত দাম দিয়ে আগে কখনই আমরা ডাব কিনিনি। যেহেতু বাজারে ডাবের সরবরাহ কম তাই বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে পাইকারি কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।’

অন্য খবর  দোহারে প্রাথমিক বৃত্তি পেল ১৬১ জন

জয়পাড়া খারাকান্দা এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেনের বাবার শরীরের পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণে প্রতিদিন ডাব খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। যে কারণে কিছু দিন ধরে নিয়মিত ডাব কিনছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় প্রতি পিস ডাব কিনলাম। এরপর বেড়ে দাম হলো ১৮০ টাকা। এখন সেই ডাব কিনতে হচ্ছে প্রতি পিস ২০০-২২০ টাকায়। হঠাৎ করে কীভাবে ডাবের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেল। এ রকম চলতে থাকলে আমাদের মত সাধারণ ক্রেতারা কিভাবে কিনবো?

আপনার মতামত দিন