স্টাফ রিপোর্টার ♦ দোহারে ক্রম বর্ধমান হারে বেড়ে চলছে ডাকাতির সংখ্যা। গত সোমবার দোহারের কাঠালীকাটা গ্রামে সংঘঠিত হয়েছে এক দূর্ধষ ডাকাতি। কাঠালীকাটা গ্রামের প্রবাসী ফরহাদ মোল্লার বাড়ীতে সংঘঠিত হয় এই ডাকাতি। ডাকাতরা এসময় প্রায় ৫ ভরি স্বর্ন ও নগদ দশ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
কাঠালীকাটা গ্রামের ফরহাদ মোল্লার বাড়ীতে সোমবার রাত আড়াইটার সময় ডাকাতরা হামলা চালায়। ফরহাদ মোল্লার স্ত্রী ফরিদা বেগম নিউজ৩৯ কে জানান যে রাত আড়াইটার সময় আনুমানিক বিশ/বাইশ জনের একটা দল তাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় তারা এসিড ব্যবহার করে তালা ভেঙ্গে ফেল বলে তিনি জানান।
এরপর তারা ঘরে ঢুকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। তাদের উপর শারীরীক নির্যাতন করে; এবং তাদের সবাইকে বেধে ফেলে। এরপর তারা আলমারী ভেঙ্গে টাকা পয়সার খোঁজ করতে থাকে।
তিনি জানান ডাকাতরা মেটাল ডিটেক্টরের মতো যন্ত্র ব্যবহার করে। এসময় তাদের ঘরে কোন সোনা পাওয়া না গেলে ফরহাদ মোল্লার ছেলে ফয়সালকে উঠানে বের করে তার বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়। তারপর ঐ মেটাল ডিটেক্টরের মতো দেখতে যন্ত্রটির সাহায্যে ডাকাতরা সোনার হদিশ পায়।
তারপর তারা তাদের মারধোর করে চলে যায়। তিনি জানান ডাকাতরা মাইক্রোবাসে করে এসেছিল। আবার মাইক্রোবাসে করেই তারা চলে যায়। ডাকাতি শেষ হয় রাত তিনটার দিকে। আর রাত সাড়ে তিনটার সময় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ এখানে এসে উপস্থিত হয়। তারা ডাকাতির সময় ভেঙ্গে ফেলা তালা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ফরহাদ মোল্লার ছেলে ফয়সালের সাথে কথা বলে জানা যায় ডাকাতরা সবাই মুখোস ছাড়া ছিল। শুধু একজন মুখোস পরিহিত ছিল। তিনি বলেন যে যে মুখোস পরে ছিল সে আমাদের সব কিছু জানে এমনকি আমরা কোন সময় কোথায় যাই তাও সব জানে।