দোহারে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে সাংবাদিক আটক

1452

দোহার উপজেলায় মুকসুদপুর ইউনিয়নে গোড়াবন এলাকায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে উপজেলার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সভাপতি মুশফিকুর রহমান লিমনের কাছে হাতেনাতে ধরা খেলেন এক ব্যক্তি। তিনি হলেন মোঃ হাবিবুর রহমান (২৬)। সে নারিশা ইউনিয়নের পশ্চিমচর গ্রামের আবুল কালামের সন্তান।

হাবিবুর রহমানের আইডিকার্ডে গোয়েন্দা বার্তা গণমাধ্যমের স্টাফ রিপোর্ট হিসাবে কাজ করার কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া হাবিবুর রহমান বলেন তার সাথে আরো দুই জন ছিল। উম্মে হাবিবা সুমি ও জাকারিয়া সুলতানা কেয়া। তারা কোন পত্রিকার সাংবাদিক বা কাজ করে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেনা বলেন।

জানা যায়, আলিফ এন্টারপ্রাইজের শেখ সজীব আহমেদ বলেন, হাবিবুর রহমান সহ তার সঙ্গীরা তাদের নম্বর থেকে সাংবাদিক পরিচয়ে আমাকে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে টাকা চায়। তারা মাঝে মাঝে এসে বলে আমি নাকি অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছি, এ ব্যবসার কাজে ঝামেলা আছে। ঝামেলা মেটাতে সাংবাদিকদেরকে টাকা দিতে হবে। তাদের কথায় অসঙ্গতি দেখে আমি দোহার উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সভাপতি মুশফিকুর রহমান লিমন ভাইকে ফোন দেই। রোববার দুপুর ১২টার দিকে নারিশা ইউনিয়নের গোড়াবন এলাকা থেকে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন মুশফিকুর রহমান লিমন।

অন্য খবর  করোনা সচেতনতায় দোহার-নবাবগঞ্জে চালু হচ্ছে টেলিমেডিসিন সেবা

এ বিষয়ে ঐস্থানের আরেক জন ব্যবসায়ী বলেন, ‘রোববার দুপুরে হাবিবুর রহমান আমার কাছে থেকে ৫০০ টাকা নিতে এলে আমি বিষয় টা সজিবকে জানাই। সজীব লিমন ভাইকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। তিনি আর আগেও আমাদের কাছে থেকে এসে টাকা নিয়েছে গাড়ি ভারা নাই বলে। তিনি নিজেকে পরিচয় দিতেন সে ঢাকা থেকে মাসে এক দুই বার আছে দূর্নীতি তদন্ত করতে। তার সাথে এসিল্যান্ডের সাথে সু সম্পর্ক তিনি লকডাউনের সময় এসিল্যান্ডের সাথে থাকতো ইত্যাদি কথা বলে আমাদের ভায় দেখাতেন।

এবিষয়ে দোহার থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ফুলতলা ফার্ড়ি থেকে এএসআই এনামুল হাবিবুর রহমানকে আটক করে দোহার থানা নিয়ে আসে। পরে আটকৃত মো.হাবিবুর রহমানকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুসলেকায় ৩৮৫/৩৮৬ ধারা উল্লেখ করা হয়।

আপনার মতামত দিন