এই গরমে তালপাতার পাখার বাতাসে গাঁ জুড়িয়ে যায়। গরম তাড়াতে যার জুড়ি মেলা ভার। গরম যত বৃদ্ধি পাচ্ছে ঢাকার দোহারে তালপাখার কদরও ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে দেশজুড়ে চৈত্রসংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে রংবেরঙের পাখার চাহিদা বৃদ্ধি তো আছেই।
এই তালপাখা বিক্রি সম্পর্কে আব্দুল কাদের জানান, ভাই হানিফ ও বাবা আবু সাঈদকে নিয়ে ভ্যানে করে দোহারের বিভিন্ন স্থানে তালপাখা বিক্রি করেন তিনি। যেহেতু গরম বেড়েছে তাই তালপাতার পাখা ও পাটির চাহিদাও বেশি। হাত তৈরি তালপাতার পাখা ও পাটিগুলো তারা কুরিয়ারের মাধ্যমে নওগা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনেছে।দোহার এপর্যন্ত তারা প্রায় ৩৫ হাজার পাখা এবং ৪০ হাজার পাটি বিক্রি করেছেন বলেন। চাহিদা থাকায় প্রতিদিনই কুরিয়ারে মধ্যেমে তালপাখার পাখা আনতে হচ্ছে। সেই সাথে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে রংবেরঙের পাখার চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা ভাল বলে জানান আব্দুল কাদের। তবে করোনার কারনে সামনের দিনগুলো জনিয়ে চিন্তিত তারা।
পাখা বিক্রেতা আব্দুল কাদেরের বাবা আবু সাঈদ জানান, দেশে কাজ কাম কম। শীতের দিনে দিনমজুরের কাম করে সংসার চালাই। আর যেহেতু এখন গরমে হাতপাখার চাহিদা বেশী থাকে তাই প্রতিবার দোহারে চলে আসি হাতপাখা বিক্রি করার জন্য । এবারও তাই দুই ছেলেকে নিয়ে দোহারে এসেছি হাতপাখা বিক্রি করতে।
ফেরি করে দোকান করা সামাদ বলেন, আমি দোহারের বিভিন্ন স্থানে হাতপাখা, মাস্ক, বাচ্চাদের ফুলদানি ইত্যাদি বিক্রি করি। এসে আমরা সামান্য কিছু টাকা রোজকার হয় সেই টাকা দিয়েই আমি চলি। আমি প্রতি পিচ পাখা পাইকারি দরে ২৫ থেকে ২৯ টাকায় কিনে আনি । যা খুচরা বাজারে বিক্রি করি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। এতেই বুঝা যায় গরমের সাথে সাথে তালপাতার পাখার কদর কিছু টা বেড়েছে।