দোহারে কিশোরীকে জবাই করে হত্যা: আটক ২

2540
দোহারে কিশোরীকে জবাই করে হত্যা

ঢাকার দোহারে গৃহপরিচারিকা তানজিলা তামিমা (১৫) কে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় দোহার পৌরসভার বানাঘাটা এলাকার একটি ধনচে ক্ষেত থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে দোহার থানা পুলিশ।

এঘটনায় পুলিশ পার্শ্ববর্তী উত্তর বানাঘাটা গ্রামের সোনামিয়ার ছেলে জিয়াউল (৩৮), একই গ্রামের হাসেম পত্তনদারের ছেলে শাহজাহান (৪৫) কে আটক করেছে।

তামিমা বানাঘাটা এলাকার মৃত.নূর ইসলাম ও ইতি আক্তারের মেয়ে। সে ঐ এলাকার রিপন শরীফের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। পুলিশের ধারণা ধর্ষণের পর কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে।

গৃহকর্তি রিপন শরীফের স্ত্রী রিমা আক্তার জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির গৃহপরিচারিকা তামিমা বাড়ির পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে বেগুন, মিষ্টি কুমরা তুলতে যায়। তার ফিরতে দেরি হলে আমরা খোঁজ করতে যাই। পরে একটি ধনচে ক্ষেতে তার জবাই করা মরদেহ পরে থাকতে দেখি। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে। পরে সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এসময় পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে ধনচে কাটতে থাকা জিয়াউল ও শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি উত্তর দেয়ায় তাদের আটক করা হয়। পরে জিয়াউলের বাড়ি থেকে রক্তমাখা লুঙ্গি ও গেঞ্জি উদ্ধার করে পুলিশ।

অন্য খবর  গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এরশাদ: অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম

দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

দোহার সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মাহবুবুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কিশোরীকে ধর্ষণের পর ধর্ষকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

দোহার,ঢাকা।

আপনার মতামত দিন