দোহার উপজেলার মাহমুদপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাস করেন নদী ভাঙনে নিঃস্ব অসহায় ২৪০টি পরিবার। কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য তো দূরে থাক, ঈদের দিনে সন্তানের মুখে একটু মাংস তুলে দিতে বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হয় তাদের। সে মাংস রান্না করে সন্তানের মুখে তুলে দিতে হয়তো বিকেল গড়িয়ে রাত নামে। ততক্ষণে ছোট্ট ছোট্ট ছেলে-মেয়ের ঈদের আনন্দই হয়তো ফিকে হয়ে যায়। কিন্তু ইউএনওর উদ্যোগে এ বছর অন্যরকম ঈদ কেটেছে আশ্রয়নের বাসিন্দাদের।
ঈদের দিন সকালে বড় আকারের তিনটি গরু কোরবানি দেওয়া হয় আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায়।
সে মাংস সমভাবে প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে নিজ হাতে বণ্টন করেন ইউএনও কে এম আল-আমিন। শুধু তাই নয় সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করার পাশাপাশি কোরাবানির যাবতীয় প্রক্রিয়া ও মাংস বণ্টনের তদারকি করেন তিনি। ইউএনওর আহ্বানে এমন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেন বিদেশি একটি সংস্থা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন। ঈদের সকালে মাংস হাতে পেয়ে ও তা সন্তানের মুখে তুলে দিতে পেরে প্রকল্পের বাসিন্দাদের মুখে মুহূর্তেই হাসি ফুটে ওঠে।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আল-আমিন বলেন, আসলে উৎসব শুধু আনুষ্ঠানিকতার নয়, উৎসব আবেগের, উৎসব অনুভূতির, উৎসব পরিচয়ের। আমি নিজের চিন্তাধারা থেকে কাজটি করার চেষ্টা করেছি। অন্তত ২৪০টি গরিব অসহায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদের হাসি ফোটাটে পেরেছি এটাই আমার কর্মকাণ্ডর স্বার্থকতা। এ কাজে আমার আহ্বানে কুয়েতি একটি সংস্থা সাড়া দিয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
একই সাথে ধন্যবাদ জানাই মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনকে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এ কাজটি করা কষ্টসাধ্য হয়ে যেত।