দোহারে অর্থের বিনিময়ে পাঠ্যবই নির্বাচন

367

বিশেষ প্রতিনিধি:  নতুন বছরকে ঘিরে দোহার উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো হুমকির মুখে পড়েছে। আর তার মাসুল দিতে হচ্ছে কোমল মতি ছাত্র- ছাত্রীদের । অভিযোগ উঠেছে, দোহার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও নবাবগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি মানসম্মত ও মানহীন উভয়প্রকারের বইই পাঠ্য পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।  আর এই সুযোগে বিভিন্ন প্রকাশনী তাদের সংগৃহিত বিভিন্ন গাইড ও গ্রামার বই নিয়ে বিভিন্ন স্কুলগুলোতে ছুটে যান। স্বরণাপর্ন হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, দোমাশিসের স্বরণাপর্ন হন জয়পাড়া ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরী। আরও অন্যান্য লাইব্রেরীগুলোকে নিয়ে আলাদা একটি মিটিং ও হয় জয়পাড়া পাইলট স্কুল প্রাঙ্গনে।  আর তাদের সমঝোতায় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

আরও গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, মন্ত্রীর ভাই মতালেব খানের নাম ভাঙ্গিয়েও এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে, মতালেব খানের ঘনিষ্ঠ জনেরা জানান বিষয়টি নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেনঃ- আমরা কয়েক শিক্ষক নিয়ে আলোচনা করেছি তারা এই বই টাকে ভাল মনে করেছে তাই আমার তেমন একটা আপত্তি মনে হয়নি। আর সেই বইটার পাঠ্য করেছেন ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরী। জানাযায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একটি নিম্ন মানের বই তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য করেছেন এ ব্যাপারে বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান এটা প্রধান শিক্ষকের বিষয় তাই আমরা কিছুই বলতে পারবোনা।

অন্য খবর  এক দিনে ১৪ টি মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা: বিপাকে দোহার-নবাবগঞ্জের চাকরি প্রত্যাশীরা

এ প্রশ্নে যেন হামাগুড়ি খায় বিবেকের দরজায়। আজকের শিশু আগামীদিনের ভবিষৎ কিন্তু সেই ভবিষৎকে যদি কেও গলাটিপে হত্যা করে তাহলে আগামী দিন অন্ধকারে নিমর্জিত হবে। তাই শিক্ষার্থীদের ভাল মানের পাঠ্য বই নির্ধারণ করবে এটাই আশা করে সুধি- সমাজ ও অভিভাবকরা।

এ ব্যপারে মুঠোফোনে কথা হয় দোহার উপজেলা দোমাশিস এর সভাপতি আব্দুল খালেকের সাথে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেনঃ- বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় আমারদের দোমাশিস এর অন্তরভুক্ত। তবে যার যার বিদ্যালয়ে যদি কেউ যে কোন প্রকাশনীর বই ভাল মনে করে সেখানে আমার বলার কিছুই নেই। এই কথা বলার পর পরই ফোনটা বন্ধ করে দেয়। তার পর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকে আর পাওয়া যায়নি।

কথা হয় দোমাশিস এর সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন আমাদের দোমাশিস এর অন্তরভুক্ত সব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডেকেছি। তাদের বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে বলেছি একটি ভাল প্রকাশনীর বই দেখেসুনে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পাঠ্য হিসাবে নির্বাচন করতে। কিন্তু আমার সব পরামর্শ আমার সব ভাল চিন্তা ভাবনা অনেকের কাছে গ্রহন যোগ্যতা পায়নি। যার ফলে আপনাদের নিকট আজ প্রশ্নের সম্মুক্ষিন হয়েছি। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল ফলা-ফলের পথ চলাকে যারা একটি নিম্নমানের বই দিয়ে বাধা গ্রস্থ করছে; প্রশাসন তাদের প্রতি  দৃষ্টি পাত করবে এটাই আশা করে দোহারের সুধি সমাজ সহ অভিভাকরা।

অন্য খবর  অস্ট্রেলিয়ায় বৃত্তি আবেদন চলছে

ব্যাপারটি অনেকটা ওপেন সিক্রেট হলেও আর একই সাথে অভিভাবকরা ক্ষুদ্ধ থাকলেও প্রতিবাদ করার যেন কেউ নেই।

আপনার মতামত দিন