দোহারের সফল জননী নারী “জয়িতা” হলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় নুর হাসনা পারভীন

572

নিউজ৩৯,তারেক রাজীবঃ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও দোহার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে “সফল জননী নারী” ক্যাটাগরিতে দোহার উপজেলা পর্যায়ে “জয়িতা” হলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় নুর হাসনা পারভীন(৬৫)।তিনি একজন রত্নগর্ভা। তিনি দোহার – নবাবগঞ্জের তথা ঢাকা জেলা দক্ষিণের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সুপরিচিত শিক্ষাবীদ ও জয়পাড়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলী মিয়া’র স্ত্রী। তিনি ৬ সন্তানের জননী এবং সবাই সমাজে ও দেশে প্রতিষ্ঠিত।


তার প্রথম সন্তান সায়্যিদা ইয়াসমীন লিনা – সিনিয়র শিক্ষক জয়পাড়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় সন্তান তাহমিনা জেসমিন বীথি – সিনিয়র শিক্ষক ইকরাশী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, তৃতীয় সন্তান ডেইজী নীতু – সহকারী শিক্ষক মেছের খান উচ্চ বিদ্যালয়, চতুর্থ সন্তান – তানিয়া লাইজু সুমী- প্রোগ্রাম অফিসার UNICEF Bangladesh, পঞ্চম সন্তান – নুরুল হায়াত টুটুল – সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃপক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সর্বশেষ সন্তান – রুবায়েত শিপলু, সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।


বৃহস্পতিবার শ্রদ্ধেয় নুর হাসনা পারভীনের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন দোহার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা। এসময় দোহার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগির হোসেন, দোহার থানা অফিসার ইন চার্জ শেখ সিরাজুল ইসলাম লিটু সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে সড়কে খানাখন্দে বিপাকে এলাকাবাসী


এই ব্যাপারে নিউজ৩৯কে তার বড় ছেলে নুরুল হায়াত টুটুল বলেন, “আমাদের মা”! আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস পালন উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে “সফল জননী নারী” ক্যাটাগরিতে দোহার উপজেলা পর্যায়ে “আমাদের মা”-কে সর্বশ্রেষ্ঠ “জয়িতা”-র সম্মানে ভূষিত করেছে। তোমার সন্তান হিসাবে আমরা গর্বিত “মা”!! আমাদের ভাই-বোনদের বড় হবার পিছনে যিনি একনিষ্ঠভাবে লেগেছিলেন তিনি আমার মা। আমার বাবা সারাদিন স্কুল, সরকারি ও সামাজিক বিভিন্ন প্রোগ্রামে ও কাজে ব্যাস্ত থাকতেন। তিনি আমাদের নিয়মিত খোজ রাখতেন কিন্তু আমাদের সকল দাবি দাওয়া ছিল আমাদের মায়ের কাছে। আমাদের আবদার আমরা আগে করতাম মায়ের কাছে। বাবা-কে কিছু বলতে হলেও আগে মা-কে-ই বলতাম। তবে, আমার মা-বাবা দুজনেরই অবদান অপরিসীম। আজ আমরা ভাই-বোনেরা যে যেখানে দাঁড়িয়ে প্রতিষ্ঠিত তা এই দুজনের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে। তারা কখনো বিশ্রাম নিয়েছেন বলে মনে হয়নি, সব সময় দুজনেই ঘরে বাইরে ব্যাস্ত ছিলেন। আমাদের বাসায় সব সময় আত্মীয়-স্বজন সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ছিল অবাধ যাতায়াত, তাদের আপ্যায়ন, আত্মীয়-স্বজনের দেখভাল, পরিচিতদের খোজ খবর রাখার কাজটা বাবা’র পাশাপাশি মা করেছেন সমান্তরালে। আমি গর্বিত আমি এমন মা পেয়েছি বলে। আমরা গর্বিত আমরা এমন মা-বাবার সন্তান বলে। সবাই আমার বাবা-মা’র জন্য দোয়া করবেন, দোয়া করবেন আমাদের জন্য।
তিনি একই সাথে ধন্যবাদ জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ তার সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; দোহার উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে।

আপনার মতামত দিন