দোহারের যাত্রীছাউনী যাত্রীদের নয়ঃ চোখের সামনে কিন্তু উদাসীন সবাই

719

শরিফ হাসান,নিউজ৩৯ঃ বিগত জোট সরকারের আমলের শেষ দিকে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ঢাকা-দোহার সড়কে যানবহনের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করেন ৩টি যাত্রী ছাউনি।এদের একটি দোহার বাজার সংলগ্ন, একটি মেঘুলাতে কমিনিউটি ক্লিনিকের প্বার্শে আর অপরটি নারিশা পশ্চিম চর বাজারে। কিন্তু বর্তমানে নজরদারির অভাব ও অব্যবস্থার কারনে এই যাত্রীছাউনীগুলো পরিনত হয়েছে এলাকাবাসী ব্যক্তিগত কাজে।

দোহারে যাত্রী বা পথচারীদের জন্য তৈরি করা ছাউনিগুলোর বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। অনেকগুলো পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। কোনোটিতে বসেছে দোকান, কোনোটিতে যাত্রীদের বসার বেঞ্চ পর্যন্ত তুলে ফেলা হয়েছে। রাতের বেলা এগুলো হয়ে ওঠে মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান।

দোহার উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়,  দোহারে ৩টির মতো যাত্রী ছাউনি রয়েছে। সেগুলোর নেই কোন দেখভাল বা নজরদারি। পথচারীরা অভিযোগ করেন, প্রখর রোদ কিংবা হঠাৎ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে বা গন্তব্যে পৌঁছানোর গাড়ি না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য এসব যাত্রী ছাউনি। অথচ তাঁরা এগুলো ব্যবহার করতে পারেন না।

দোহার ভূইয়াবাড়ী খেলার মাঠ এলাকা ঘুরে দেখা গেল, সামনের ফুটপাতের ওপর তৈরি যাত্রী ছাউনিতে বসার কোনো জায়গা নেই। হোটেল। সব সময় বখাটেদের ভিড় লেগে আছে। রাখা হয়েছে চুন সুড়কীর বস্তা। হয়েছে গণ সৌচাগার আর পাগলের নিরাপদ আবাস স্থল। অপরিচ্ছন্ন এই যাত্রী ছাউনীতে কোন যাত্রী আর বাসের জন্য অপেক্ষা করেন না।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে ডাকাতি: আহত ৩

চিত্রঃ ভূইয়াবাড়ী যাত্রী ছাউনী।

মেঘুলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ছিল একটি যাত্রী ছাউনী। সেখানে কিছুদিন ছিল তেলের দোকান। এখন অযত্ন অবহেলায় সেখানে বাস করে কুকুর বিড়াল আর মাদকসেবী। ভেতর বসার জায়গা নেই।

চিত্রঃ মেঘুলা যাত্রী ছাউনী।

মেঘুলায় রোড এলাকায় আরাম বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী হাবিবুল বাশার বলেন, ছাউনিগুলো যাত্রীদের জন্য তৈরি। অথচ এসব ছাউনির বেহাল দশা। প্রশাসনের উচিত এগুলো নিয়মিত দেখাশোনা করা। জনগণের সেবার জন্য জনগনের টাকায় নির্মিত এসব যাত্রী ছাউন্নী দেখার যেন কেউ নেই।

নারিশা পশ্চিম চর বাজারে অবস্থিত যাত্রী ছাউনিটি এখন আশে পাশে মানুষের লাকড়ী ও গোবর শুকানোর স্থা হয়েছে। কিছুদিন আগেও এটি পরিচ্ছন্ন ছিল। এখন পাগলের বসতি।

চিত্রঃ পশ্চিমচর যাত্রী ছাউনী।

যাত্রী ছাউনীগুলোর এই দশার অন্যতম কারণ দোহারের ২ যাত্রী পরিবহন সংস্থা; আরাম ও নগরের কোন কাউণ্টার নেই এই যাত্রী ছাউনী সংলগ্ন। তাই শুরু থেকেই এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল। এই পরিবহনগুলো যাত্রী উঠা-নামানোর কাজে কখনই এসব স্টপেজে থামেনি। তাই যাত্রীরাও এদের প্রতি আকর্ষণ হারাতে থাকে।

এখন এগুলোর প্রতি সামান্য নজর দিলেই তা হয়ে উঠতে পারে পরিবহন খাতে সুষ্ঠূ ব্যাবস্তাপনা ও যাত্রী বিড়ম্বনা কমানর মুল উপায়।

অন্য খবর  দোহারে ইউএনও কর্তৃক ১২ জুয়াড়ির সাজা

এই ব্যাপারে দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা আক্তার রিবা নিউজ৩৯ কে বলেন, নিউজ৩৯ সুন্দর একটি বিষয়কে সামনে এনেছে। এ বিষয়ে আমি দেখব যে কিভাবে এটি ব্যবহারের উপযোগী করা যায়। কারন এটা দোহারবাসীর জন্য যেমন সুন্দর, তেমনি এটি সরকারের অর্থেই করা হয়েছে। তাই এটি যত তাড়াতাড়ি ব্যবহারের উপযোগী করা যায় সেটা আমি দেখব। এতে পরিবহন খাতেও সুষ্ঠূ শৃংখলা ফিরে আসবে।  যাত্রীছাউনীগুলো কেন্দ্র করে কর্মহীন মানুষের কর্মেরও ব্যাবস্থা হতে পারে।

আপনার মতামত দিন