মো: আছিফুর রহমান, নিউজ ৩৯ ♦ ঢাকার সর্বদক্ষিণের উপজেলা দোহারে গত এক বছরে বাস ভাড়া বেড়েছে শতকরা ৬০ টাকা। ফলে চরম দূর্ভোগের শিকার হয়েছে এই উপজেলার সাধারন মানুষ। এক বছর আগে যেখানে নগর পরিবহনে বাহ্রাঘাট থেকে ঢাকার ভাড়া ছিল ৫০ টাকা সেখানে বর্তমানে ভাড়া ৮০ টাকা। একই অবস্থা জয়পাড়া থেকেও।
এক বছর আগেও যেখানে আরাম পরিবহনে ভাড়া ছিল ৫০ টাকা সেটা বেখন দাড়িয়েছে ৮০ টাকা। বর্তমানে দোহারের বাস ভাড়ার নামে চলছে চরম স্বেচ্ছাচারীতা। যার পুরো দূর্ভোগ পোহাচ্ছে দোহারের যাত্রীরা।
সোহান, নয়াবাড়ীর আন্তা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে পড়াশোনা করছে ঢাকার এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। গতবছর সে এসময়ে ঢাকা যেতে আসতে তার খরচ হতো ১০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে শুধু তার ঢাকা যেতেই খরচ হচ্ছে ৮০ টাকা। ফলে এই অতিরিক্ত খরচ তার জন্য দেখা দিয়েছে অভিশাপের মতো। এরকম প্রায় আরও সবাই কোনোনা কোনো ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এই বাড়তি ভাড়ায়।
বাস মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া এই অস্বাভাবিক ভাড়া বাড়ার আর কোনো কারন নেই। যেখানে গত এক বছরে তেলের দাম বেড়েছে শতকরা ২০ শতাংশ সেখানে তেলের দাম বাড়ার অযুহাতে বাস মালিকেরা ভাড়া বাড়িয়েছেন। এ ব্যাপারে এক ড্রাইভারের সাথে কথা বললে তিনি জানান তেলের মূল্য বৃদ্ধি, টায়ার টিউবের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদির কারনে ভাড়া আর আগের জায়গায় রাখা যাচ্ছে না। তিনি দাবি করেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারনে ভাড়ার এই বৃদ্ধি। তবে তিনি এই ভাড়া বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেন না।
তবে তাদের এই যুক্তি যাত্রীরা গ্রহণ করেন নি। পাশের উপজেলা নবাবগঞ্জের বাস ভাড়া অনেক কম। বান্দুরা থেকে ঢাকাগামী বাসের ভাড়া সর্বোচ্চ পঞ্চাশ টাকা। এবং নবাবগঞ্জের বাস বিশেষ করে এন মল্লিকের আরামপ্রদ উন্নত বাসের ভাড়া যেখানে ৫০ টাকা সেখানে আরাম ও নগরের লক্কর ঝক্কর বাসের ভাড়া অনেক বেশি।
মূলত দোহার থেকে যেসব বাস শ্রীনগর হয়ে ঢাকা যায় তাদের ভাড়াই এরকম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এসব বাসের মালিক-শ্রমিক পক্ষের দাবি ভাড়া অস্বাভাবিক হাড়ে বৃদ্ধি পায় নি। সব মিলিয়ে বাস ভাড়া নিয়ে দোহারের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ।