দোহারে আবার শুরু হয়েছে নদীভাঙন। শীতের এই মৌসুমে হটাত করেই শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। দোহার উপজেলায় প্রতিবছর নদীতে হারিয়ে যায় জনপদ, স্কুল, বাড়িঘর। ভিটেমাটি হারা হয় উপজেলার হাজারো দরিদ্র পরিবার। নিঃস্ব হয় হাজারো মানুষ।
দোহার উপজেলার নারিশা গ্রামে নতুন করে পদ্মা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ঐ এলাকায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে শুরু হয় নদীর পার ভাঙন। নতুন করে এই এলাকায় ভাঙনের ফলে ফসলি জমির পাশাপাশি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
নারিশা এলাকার বাসিন্দা মো: মাহিম হোসেন বলেন, প্রতিবছর পদ্মার স্রোতে ভেঙ্গে যায় শতশত বসতবাড়ি। উপজেলা প্রশাসন থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে চলমান ভাঙ্গনের ফলে এলাকার মানুষ বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে। এসময় তিনি আরো বলেন, গতবছর থেকে কয়েকবার নদী তীরবর্তী এলাকা বাধের কার্যক্রমের কথা থাকলেও এই এলাকায় তা লক্ষ করা যায়নি। মেঘুলা পর্যন্ত বাধ দেওয়া হলেও নারিশা পর্যন্ত কাজ এখনো শুরু করা হয়নি।
গত শুক্রবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারিশা বাজার ট্রলারঘাট, খালপাড় গোডাউন সংলগ্ন পদ্মা পাড়ে নতুন করে ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। নদীপাড় থেকে ভাঙ্গন বসতবাড়ির কাছে চলে এসেছে। দ্রুত ভাঙ্গনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিস্তৃত হবে ভাঙ্গন এলাকা। এমতাবস্থায় দোহার উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে নারিশাবাসী।