ফতুল্লা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী তুষার আহম্মেদ মিঠুকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ফতুল্লা স্টেশন রোড এলাকা হতে সন্ত্রাসী মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত তুষার আহম্মেদ মিঠু ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মৃত গফুর সিদ্দিকীর ছেলে।
ঢাকা দোহার থানার ফুলতলা তিন দোকান এলাকার মৃত মুনসুর আলী ও রহিমা বেগমের ছেলে ফতুল্লা যুবলীগ নেতা মাসুম। ১৯৯৭ সাল থেকে মাসুম ফতুল্লার দাপা এলাকায় স্ত্রী রেখা আক্তারকে নিয়ে বসবাস করে। ২০০১ সালের ১৫ অক্টোবর দুপুর ২টায় ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা ধরে মাসুমকে দাপা এলাকায় নিয়ে পিটিয়ে হত্যা শেষে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রহিমা বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় বিএনপি জোট সরকারের সন্ত্রাসীদের ভয়ে তাৎক্ষণিক ছেলের লাশ নদী থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযানে সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার অভিযানে পুলিশের তালিকাভুক্ত ৪২ নম্বর সন্ত্রাসী তুষার আহম্মেদ মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৯ টি মামলা রয়েছে।
গত বছরের ১৮ মে ফতুল্লায় আলোচিত যুবলীগ নেতা মাসুম হত্যা মামলায় আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। চার্জশিটে এ মামলার দায় থেকে একজনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হল- ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার হায়দার আলীর ছেলে ইয়াসিন, লালপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ভোল্ডার সেলিম, দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মৃত গফুর সিদ্দিকীর ছেলে তুষার আহমেদ মিঠু একই এলাকার আলী নূর বেপারির ছেলে শহীদ হোসেন ওরফে শহীদ ডাকাত ও পিলকুনি এলাকার সামসুল হকের ছেলে ডাকাত শাহীন। তারা প্রত্যেকেই ফতুল্লা থানার তালিকাভুক্ত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী।