দুদকে হাজির হলেন না মান্নান খান

171

নিউজ৩৯ রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানদুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) হাজির হননি । ৪ জানুয়ারির পর দুদকে হাজির হওয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়ে সময় চেয়েছেন তিনি। চলতিবছর ২১ আগস্ট মান্নান খানের বিরুদ্ধে ৭৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এর দুমাস পর ২১ অক্টোবর সৈয়দা হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে। উক্ত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন মামলায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মান্নান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো তলবি নোটিশ পড়তে পারেননি দাবি করে টেলিফোনে মৌখিকভাবে সময় প্রার্থনা করেন তিনি। ৪ জানুয়ারির আগে আর কোনো কার্যদিবস না থাকায় ৫ জানুয়ারি কিংবা তারও পরে দুদকে হাজির হবেন বলে জানান মান্নান। পৃথক মামলায় তলবি নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন মান্নান খানের স্ত্রী সৈয়দা হাসিনা সুলতানাকেও জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে।২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসিরউদ্দিন স্বাক্ষরিত তলবি নোটিশ ওইদিনই দুদকের নিজস্ব বার্তাবাহকের মাধ্যমে মান্নান খানের এপার্টমেন্ট এ-৫, বাড়ি-৬, রোড নং-৯, ধানমণ্ডি, ঢাকার ঠিকানায় পৌঁছানো হয়। তিনি নোটিশ প্রাপ্তি স্বীকারও করেন। তবে ওইদিন নোটিশ হাতে পেলেও খুলে পড়ার সময় পাননি বলে জানান কমিশনকে। গতকাল সকালে মান্নান খান দুদকের একজন কমিশনারকে টেলিফোনে হাজির না হতে পারার ব্যর্থতার কথা জানান। নিজেকে দুদকের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দাবি করে পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন বলে প্রতিশ্র“তি দেন।দুই মামলায় পৃথকভাবে মান্নান দম্পতিকে তলব করা হলেও ৫ জানুয়ারি একসঙ্গেই দুজন দুদকে হাজির হতে পারেন।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় অস্বাভাবিক সম্পদ বিবরণীর সূত্র ধরে ২২ জানুয়ারি মান্নান খান দম্পতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। নির্বাচনে পরাজিত মান্নান খান হলফনামায় ১১ কোটি ৩ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। অথচ নবম সংসদের হলফনামায় তার সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে পাঁচ বছরে তার সম্পদ বাড়ে ১০৭ গুণ। 

আপনার মতামত দিন