তরুনদের ভাবনাঃ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামাজিক ও মানসিক শক্তি দিন

464

দিনে দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বেড়ে যাওয়াটাই মনে হয় স্বাভাবিক। পৃথিবীর সব দেশেই ১জন, ৫ জন,১০০ জন এভাবে জ্যামিতিক হারে বেড়েছে। আমাদের দেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন দেশ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হলেও, আমাদের দেশে এখনো বেড়েই যাচ্ছে। আর এর কারন আমার মনে হয় সামাজিক অসচেতনতা, দারিদ্রতা, মূর্খতা ও হেয়ালিপনা। যাইহোক, প্রথমে চীনে এ ভাইরাস দেখা দিলেও আজ বিশ্ব বিচরণ করে আমাদের উপজেলায় এমনকি আমার মহল্লায় ও আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে।

যেহেতু বিভিন্ন গবেষণায় এ ভাইরাস সারাজীবন থাকার ইঙ্গিত করছে, তাই আমাদের এর সাথে যুদ্ধ করেই বেচে থাকতে হবে। আর এ যুদ্ধে আমাদের অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে। যার ফলস্বরূপ করোনার লক্ষ্মণ (জ্বর ,শুকনা কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ,অতিরিক্ত দূর্বল হওয়া), কিভাবে ছড়ায়, সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা ইত্যাদি বিষয়ে সর্বসাধারনে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।যদিও সবাই মনাছে না।

এবার আসি আমদের দোহার নবাবগঞ্জের কথায়। এ দুই উপজেলায় প্রবাসীর সংখ্যা বেশি, দেশের করোনার হটস্পট ঢাকা – নারায়নগঞ্জে খুব কাছে এবং দোহার নবাবগঞ্জের ধনীর দুলালেরা অপ্রয়োজনে মোটরসাইকেলে দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানো সেই সাথে আড্ডা দেওয়ার প্রবনতা অনেক বেশি, তাই অন্যান্য জেলার চেয়েও দোহার নবাবগঞ্জে উপজেলায় কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বেশি হওয়ার অন্য কারণ, আমি মনে করি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৎপরতায় অধিক সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা। যত বেশি পরীক্ষা তত বেশি রোগী। তবে আমার ধারনা দোহার নবাবগঞ্জে রোগীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি । অনেকে সিম্পটম নিয়ে পরিক্ষা করাচ্ছেন না। কারণ আমাদের সামাজিক দৃষ্টি ভঙ্গি। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্নভাবে সামাজিক অবহেলার স্বীকার হয়।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামাজিক ও মানসিক শক্তি দিন। তাতে সবাই সিম্পটম দেখা দিলেই পরীক্ষায় আগ্রহী হবে। এতে সঠিক রোগী নির্নয় হয়ে, সঠিক চিকিৎসায় নিউজিল্যান্ডের ন্যায়, দোহার নবাবগঞ্জ সর্বপ্রথম বাংলাদেশের করোনা মুক্ত উপজেলা হবে বলে আমি আশা করি।

অন্য খবর  তরুণদের ভাবনা: আমরা মৃত্যু ঝুকি ঘাড়ে করে ঘুরে বেরাচ্ছি

শাহিন হোসেন
সভাপতি
সে টুগেদার
কার্তিকপুর, দোহার, ঢাকা

আপনার মতামত দিন