গোপন তথ্য গোপন থাকছে না ফেসবুকে

522
তথ্য গোপন থাকছে না ফেসবুকে

‘অতীত স্মৃতিশক্তি অনুযায়ী আপনি কে ছিলেন?’, ‘আপনার সুপ্ত গুণ কী?’, ‘কোন রং আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে?’, ‘আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধু’—ফেসবুকের ওয়ালে এরকম আরও অনেক কুইজ দেখেই আপনি হয়তো ঝটপট ক্লিক করে বসেন। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে যে আপনার প্রোফাইলের গোপন সব তথ্য বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে তা হয়তো আপনারও অজানা।

কুইজের ফলাফল জানানোর আগে যারা এসব কুইজ বানিয়েছে তারা আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইলের নানা তথ্যে প্রবেশের অনুমতি চায়। কুইজ শেষ করতে চাইলে আপনিও তথ্য দিতে বাধ্য। এভাবে আপনাকে হালকা বিনোদন দেওয়ার ছলে গোপনে আপনার সব তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে সেই কুইজ বা অ্যাপের নির্মাতারা। এখানেই শেষ নয়। আপনার এসব তথ্য তারা বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রিও করে দিচ্ছে।

মিয়াও (Meaww) অ্যাপ এর কয়েকটি কুইজ, যেমন- ‘কে আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু’, ‘কোন বন্ধুটি আপনাকে উজ্জীবিত করে?’ খুব জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ফেসবুকে। তবে উত্তর জানানোর আগে আপনাকে ওই অ্যাপ কোম্পানির নানা ধরনের শর্ত ও নীতিমালা মেনে নিতে হবে। এসব শর্ত মেনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে আপনাকে আপনার প্রোফাইল, বন্ধুদের তালিকা, ইমেইল অ্যাড্রেস, টাইমলাইন পোস্ট, ছবি ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে।

অন্য খবর  অনলাইনে নিরাপদ থাকতে গুগলের টিপস

প্রযুক্তিবিদরা সাবধানবাণী দিচ্ছেন, এভাবে যেসব তথ্য এসব অ্যাপের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি এগুলো তারা চাইলেই পাবলিক প্রোফাইল হিসেবে শেয়ার করতে পারে। তাই কুইজে অংশ নেওয়ার আগে অন্তত তাদের শর্তগুলো একবার পড়ে দেখুন। কারা তথ্য শেয়ার করবে না বলে নিশ্চিত করছে তা দেখে নিন। যদিও মিয়াও বলছে, কোনও ফেসবুক ইউজার অনুমতি না দিলে তারা প্রাপ্ত তথ্য অন্য কোনও কোম্পানিকে দেয় না।

প্রযুক্তিবিদেরা আরও জানান, ফেসবুক ইউজাররা চাইলে প্রোফাইলের তথ্য ছাড়া বাকি তথ্যগুলো দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়েও যেতে পারেন। শর্তগুলো বিশদ পড়ে দেখার মধ্য দিয়ে একাজ করা যায়। তাছাড়া অ্যাপগুলোও আগেই জানিয়ে রাখে যে কোনও সময় তাদের নীতিমালার পরিবর্তন ঘটতে পারে। নতুন নীতি দেখে না নিলে অন্য কোনও কোম্পানির হাতে তথ্য তুলে দেওয়ার বিষয়টিও অগোচরেই থেকে যেতে পারে। তাই সাবধানতা হিসেবে প্রতিবার শর্তগুলো পড়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে নিরাপদ।

আপনার মতামত দিন