ঢাকা জেলা পরিষদ: ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

580

 

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের জেলেপাড়া কালীমন্দির, শ্রীশ্রী শিবঠাকুর মন্দির এবং হরিস্কুল পালপাড়া যুবসংঘ নামে তিনটি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ঢাকা জেলা পরিষদের প্রায় ১৯ লাখ টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, যন্ত্রাইল গ্রামের শ্রীশ্রী শিবঠাকুর মন্দির সংস্কার প্রকল্প দেখিয়ে দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এতে স্থানীয় রঞ্জিত পাল, রাজীব পাল, দ্বীপক পাল ও সুব্রত রাজবংশী যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। মন্দির কমিটির সভাপতি ও দোহার-নবাবগঞ্জ বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র দত্ত অভিযোগ করেন, মন্দিরের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ মন্দির কর্তৃপক্ষ পায়নি। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।

যন্ত্রাইল জেলেপাড়া কালীমন্দির উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে যন্ত্রাইল গ্রামের পরান রাজবংশীর ছেলে বিমল রাজবংশীসহ আরও কয়েকজনের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। জানা যায়, আইএফআইসি ব্যাংক পান্থপথ শাখা থেকে এ টাকা উত্তোলন করা হয়।

এ ছাড়া হরিস্কুল পালপাড়া যুবসংঘের নামে দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এতে রঞ্জিত পাল, রাজীব পাল, দ্বীপক পাল ও সুব্রত রাজবংশীর যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রকল্পের অর্থ এনসিসি ব্যাংক নবাবগঞ্জ শাখা থেকে উত্তোলন করা হয়।

অন্য খবর  বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাকে মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেনঃ মাহবুবুর রহমান

অভিযুক্ত ভুয়া প্রকল্পের সভাপতি সুব্রত রাজবংশী এ ব্যাপারে জানান, রাসেল ও টুটুল দুবার তার স্বাক্ষর নিয়েছিল। তবে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন কিংবা ব্যাংকের চেকবই তিনি পাননি। কোনো টাকাও তিনি তোলেননি। পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনন্দপাল জানান, পালপাড়া যুবসংঘের নামে জেলা পরিষদের প্রকল্পের টাকা অত্মসাতের খবর শুনেছেন তিনি। এ নামে কোনো সংগঠন নেই। কোনো সংস্কারকাজও হয়নি।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এসব প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। এসব প্রকল্পে হরিস্কুল গ্রামের মো. পঙ্খির ছেলে মো. টুটুল ও ওড়ারচর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মো. রাসেল ও তার বড় ভাই রনক জড়িত বলে জানা যায়। এসব প্রকল্প সংশ্লিষ্টকে দুদক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মো. টুটুল জানান, এ রকম কোনো বিষয়ের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। বিস্তারিত জানতে রাসেলের বড় ভাই রনকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে রনকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার উপজেলা সদরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

আপনার মতামত দিন