জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঢাকা জেলাসহ অন্তত ৩৫টিতে নিজ দলের বিদ্রোহীদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কমপক্ষে ৭০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ভোট গ্রহণ হবে ২৮ ডিসেম্বর। জেলা পরিষদে এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্দলীয় এ নির্বাচনে ভোট দেবেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিরা। প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি কর্পোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। তাদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।
এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই কমপক্ষে ১২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র ৩ ও ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১১ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১২ ডিসেম্বর।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ নিউজ৩৯কে বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বলে কিছু নেই। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে যারা টিকবেন, তাদের মধ্যে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর বাইরে কেউ প্রার্থী হয়ে থাকলে তাদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলা হবে। ওই সিদ্ধান্ত না মানলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজ৩৯কে তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী যারা আছেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগে তারা সবাই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন বলেই তারা মনে করছেন। এ ছাড়া যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই পদ-পদবি ও গুরুত্বহীন এবং নিজের গুরুত্ব বাড়াতেই প্রার্থী হয়েছেন। প্রকৃত বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা পাওয়ার পর এ নিয়ে বৈঠকেও বসবেন কেন্দ্রীয় নেতারা, তিনি জানান।
চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন যারা-
ঢাকা : সবচাইতে অবাক করেছে ঢাকা জেলায় বিদ্রোহি প্রার্থীতা। ঢাকা জেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান। তার বিপরীতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন মাসুদ খান মজলিস।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দু’জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এমএ সালাম বিএনএফ নেতা নারায়ণ রক্ষিত।
ভোলা : চেয়ারম্যান পদে সরকারদলীয় প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু ও সাধারণ সদস্য পদে ১৫ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। একক প্রার্থী থাকায় তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয় হতে যাচ্ছেন। তবে সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (দৌলতখান, মনপুরা ও চরফ্যাশন অংশ) ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নীলফামারী : ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : এ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মইনুদ্দীন মণ্ডল। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান তোতা, আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আফসার আলী, বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বিদায়ী সভাপতি মো. আবদুল ওয়াহেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিনল্যান্ড প্রবাসী গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. খুরশিদ আলম বাচ্চু ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মো. আলাউদ্দিন টিপু।
পঞ্চগড় : এ জেলায় চেয়ারম্যান পদে সরকারি দলের ৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (নাজমুল-আম্বিয়া) ১ জন, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) ১ জন, স্বতন্ত্র ২ জনসহ মোট আটজন প্রার্থী হয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক আবু বকর ছিদ্দিককে মনোনয়ন দিলেও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, সহ-সাধারণ সম্পাদক এটিএম সারোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমানুল্লাহ বাচ্চু বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অন্যরা হলেন জাসদের ইমরান আল আমিন, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) আবু হাসনাত, স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলদার হোসেন ও আশরাফুল ইসলাম।
ময়মনসিংহ : এ জেলায় চেয়ারম্যান পদে দুই জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউসুফ খান পাঠান জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম ফখরুল আলম বাপ্পি চৌধুরীও মনোনয়নপত্র জমা দেন।
রাজশাহী : রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলটির দুই বিদ্রোহী প্রার্থী। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহবুব জামান ভুলু, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী সরকার এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।
মেহেরপুর : মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী ছাড়াও আওয়ামী লীগের তিনজন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল, গাংনী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম খোকন ও মুজিবনগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন হাবিবুর রহমান। সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দু’জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেন সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক মুনসুর আহমেদ। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম।
লালমনিরহাট : লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদ্যবিদায়ী প্রশাসক অ্যাডভোটেকট মতিয়ার রহমান। অপর তিন প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী। তারা হলেন- লালমনিরহাট জেলা আ’লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী ভোলা এবং জেলা আ’লীগের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব।
বগুড়া : বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সদ্যবিদায়ী প্রশাসক ডা. মকবুল হোসেন। আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন আদমদীঘির আওয়ামী লীগ নেতা সোলায়মান আলী মাস্টার। এছাড়া জাপার (মঞ্জুর) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম আমিনুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ্রমিক নেতা সৈয়দ কবির আহমেদ কবির প্রমুখ।
রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফকীর আবদুল জব্বার। অন্য প্রার্থীরা হলেন- রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রকিবুল হাসান পিয়াল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক জেলা সভাপতি আবুল কালাম এবং সাবেক এমপি নাজির হোসেন নিলু চৌধুরীর পুত্র ইমামুজ্জামান চৌধুরী রিটু।
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলেন জেলা পরিষদের সদ্যবিদায়ী প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মনজু। অন্যরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুল আবেদীন খোকন (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও স্বতন্ত্র হিসেবে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মালিক।
ফেনী : ফেনী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলেন ফেনী জেলা পরিষদের সদ্যবিদায়ী প্রশাসক আজিজ আহম্মদ চৌধুরী। স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আজিজুল বারী চৌধুরী।
শরীয়তপুর : শরীয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র আ. রব মুন্সি।
ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হলেন কানক কান্তি দাস। অন্যরা হলেন জাতীয় পার্টি নেতা এ কে এম হারুন অর রশীদ এবং জেলা জাসদের সভাপতি মো. এমদাদুল হক।
ঋণখেলাপি প্রার্থীদের তথ্য দেয়ার নির্দেশ : জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো ঋণখেলাপি ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবেন না। সেজন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করা ব্যক্তিদের ঋণখেলাপি সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। ১ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। ৩ ও ৪ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ডিসেম্বর।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, যেসব জেলা চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হয়েছেন তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হবেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং প্রত্যাহারের পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা জয়ী হতে যাচ্ছেন তারা হলেন- ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, গাজীপুরে ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামান, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, যশোরে হাদিউজ্জামান, ঝালকাঠী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, মুন্সীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায় এবং নারায়ণগঞ্জে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ঋণখেলাপি ব্যক্তিরা অযোগ্য বলে বিবেচিত। তাই ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সংকলন, সংরক্ষণ ও তা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে যথাসময়ে উপস্থাপন করতে হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন থেকে বাছাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত (সরকারি/সাপ্তাহিক ছুটি এবং অফিস সময়ের পরে হলেও) সব তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যেন নিজ নিজ দফতরে উপস্থিত থাকেন এবং রিটার্নিং অফিসার কোনো তথ্য কিংবা সহায়তা চাইলে তা যথাসময়ে দেবেন।
এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন রয়েছে। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) জেলা পরিষদ আইনের তিনটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিট আবেদনে জেলা পরিষদ আইন-২০০০-এর ৪(২) এবং ১৭ নম্বর ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইনের ৫ নম্বর ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।