ডিসেম্বর এলেই দোহার- নবাবগঞ্জে পতাকা বিক্রি করেন শাহিন

78
ডিসেম্বর এলেই দোহার- নবাবগঞ্জে পতাকা বিক্রি করেন শাহিন

ঢাকার দোহার উপজেলা জয়পাড়া বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েক জনকে। তাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমরা ডিসেম্বর মাসের কয়েক দিন দেশকে ভালবেসে এই জাতীয় পতাকা বিক্রি করি আর অন্য সময় বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি।

তেমনি একজন পতাকা বিক্রিতা মোঃ শাহিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জীবিকার প্রয়োজনে অনেক দিন ধরে নবাবগঞ্জের আমতলায় বসবাস করছি। আমি অন্য সময় অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। কিন্তু ডিসেম্বর মাস আসলেই দেশপ্রেম ও দেশের ভালবাসার জন্য কয়েক দিন জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন তিনি। আমি সকালে অটোরিকশা চালিয়ে দুপুরে খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হই দেশকে ভালবেসে দেশের পতাকা বিক্রি করতে। আমি দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা এবং বেশির ভাগ সময় উপজেলার বাজার গুলোতে পতাকা বিক্রি করে থাকি। আমি বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন সাইজের পতাকা বিক্রি করে থাকি। আমি পতাকা বিক্রি করে যে আনন্দ পাই তা বলার মত নয়। তবে গত বছরের তুলনায় এই বছর পতাকা বিক্রি কম হচ্ছে। আমি অনেক সময় ধরে জয়পাড়া বাজারে পতাকা বিক্রি জন্য ঘুরিতেছি কিন্তু তেমন আশা সরুপ বিক্রি হচ্ছে না জাতীয় পতাকা।

অন্য খবর  দোহারে তুচ্ছ ঘটনায় কুপিয়ে যখম

অন্য আরেক জন পতাকা বিক্রেতা আবদুল হান্নান জানান, ডিসেম্বর মাস আসলেই আমরা ১০ থেকে ১২ জন বাংলাদেশ পতাকা বিক্রি করি বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে। বিশেষ করে যেখানে বেশী ভির বা লোক সংখ্যা থাকে সেই সব স্থানে পতাকা বিক্রি করি বেশী বিক্রির আশায়। বড় পতাকা ২৫০ থেকে ১৫০ টাকা, মাঝারি পতাকা ৭০-৯০ টাকা, ছোট পতাকা ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং হাত পতাকা ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করি। তবে হাত পতাকাটাই বেশী বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের আমরা প্রতিদিন ৮০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার পতাকা বিক্রি করতাম। কিন্তু এই বছরের পতাকা বিক্রি কম হচ্ছে। যে পতাকা কিনেছি মনে হয় সব গুলোই থেকে যাবে। আর থেকে গেলে আমাদের লস হবে। আমি পতাকা বিক্রি ছাড়া ফেরি করে টাকা আয় করি। একটু লাভের আশায় ডিসেম্বর মাসে পতাকা বিক্রি করি।

আপনার মতামত দিন