রাজধানীর মালিবাগের প্রশান্তি হাসপাতালে টাকার জন্যে হাসপাতালের বেডের সঙ্গে মৃতের হাত বাঁধা ছিল কি না, তা ক্ষতিয়ে দেখতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সাথে ভর্তি হওয়া রোগীকে (সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা ডা. মহিন উদ্দীন পারভেজকে) জোর করে আইসিইউতে মৃত্যুর অভিযোগে রোগীর পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে মৃত রোগীর বড় ভাই জসিম উদ্দিন রুবেলের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন এই আবেদন করেন।
রিটের বিবাদী করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের (ডিজি) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) পরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), প্রশান্তি হাসপাতালের পরিচালক, আইসিইউয়ের দ্বায়িত্বে থাকা ডাক্তার আব্দুল আলিম ও জেনারেল ম্যানেজার।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আইনজীবী লিমন জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা ডা. মহিন উদ্দীন পারভেজ। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অনেকটা সুস্থ থাকার পরও ১৪ জুন ভর্তি হওয়ার পরই তাকে প্রায় জোর করেই আইসিইউতে পাঠিয়ে দেন আইসিইউ কনসালটেন্ট ডা. এস এম আলীম। ১৮ জুন ভোরে মারা যান মহিন উদ্দীন পারভেজ। স্বজনদের কাছে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেয়া হয়। এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রোগীর স্বজন রুবেলের মোবাইল কেড়ে নেন ডা. আলীমের ম্যানেজার সাইফুল। তাকে এক রুমে আটকে রাখা হয়। বলা হয়, টাকা না দিলে তাকে
র্যাবে দেয়া হবে। তার ভাইয়ের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দিয়ে দেয়া হবে। পরে রুবেল তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাসপাতাল খরচ ও প্রায় ৬০ হাজার টাকা ওষুধের দাম দিয়ে লাশ নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ছাড়া পান।