মাসটা চৈত্র। চৈত্রের শেষ বেলায় সবই যেন কালবৈশাখীর আগাম বার্তাই দিয়ে গেল। এমন দিনে খাঁ খাঁ রোদ্দুর গা পোড়ায়। যথারীতি কড়া রোদের তপ্ত দুপুর ছিল শুক্রবারের। তবে বিকেল নামতেই বদলে গেল ঢাকার আকাশ। কালো মেঘে উধাও হলো দিনের আলো, সন্ধ্যার আগেই নেমে এল সন্ধ্যা।
ঝড় এল, এল বৃষ্টি- এমন তাড়ায় শুক্রবারের ছুটির বিকেলে হঠাৎ রাস্তায় মানুষের ছুটোছুটি। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর তাড়া।তারপর রাজপথের ধুলো উড়িয়ে শুরু হলো ঝড়ো হাওয়া, সঙ্গে সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর মৃদু বজ্রের গর্জন। তাতে ধুলোর দাপট কমে এল।আবহাওয়াবিদরাও তেমনটাই মনে করছেন।
এতে ফসলের সাথে সাথে দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরাণিগঞ্জ, শ্রীনগর এ ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ির ও ক্ষতি হয়েছে। দোহারের বাহ্রা, বাস্তা, কাটাখালি, শিমুলিয়া, নারিশা, মুকসুদপুরসহ নবাবগঞ্জ, কেরাণিগঞ্জ, শ্রীনগর বিভিন্ন স্থানে ঘর-বাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সিরাজদিখান উপজেলার খারশূড়ে বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ে থাকায় বিকাল থেকে বিদ্যুৎ বিহীন আছে দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরাণিগঞ্জ।
চিত্রঃ দোহারের কাটাখালি মেছের খান উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের বসতি।
আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়া কর্মকর্তা মিজানুর রহমান নিউজ39 কে বলেন, বিকেলে হঠাৎ করেই কালো মেঘে ঢেকে যায়। সিলেট, ফরিদপুর, ময়মনসিংহে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৭ কিলোমিটার। ঝড়ের সঙ্গে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বিকেলে দোহারের মুকসুদপুরে ছিলেন নিউজ৩৯ সাংবাদিক গাজী নাদিম মাহমুদ। তিনি বলেন, আকাশে হঠাৎ কালো মেঘে যেন বিকেলেই সন্ধ্যা নেমে এসেছিল। অনেক দিন পর এমন অন্ধকার করা কালো মেঘ দেখলাম। চৈত্র মাসে আকাশে এমন কালো মেঘ দেখে মনে হচ্ছে এটা কালবৈশাখীর আগাম বার্তা।
এ ছাড়া বিকেলে হঠাৎ কালো মেঘের পর ফেসবুকজুড়ে ছিল মেঘ-বৃষ্টি নিয়ে স্ট্যাটাসের ছড়াছড়ি।এতে আম, লিচুর মুকুল ঝরে পড়াসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।