ঢাকার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া বাজার সাথে আছে উপজেলা পরিষদ ও স্কুল কলেজ,পৌরসভা,উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স যেখানে মানুষের আনাগুনা লেগেই আছে।দোহার উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম বাজার এটি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন জয়পাড়ার প্রধান প্রবেশ পথ থানার মোড় দিয়ে। অথচ এই প্রবেশ পথটির দুইপাশ প্রতিনিয়ত দখল হয়ে থাকে অবৈধভাবে ইজিবাইক, অটো চালিত রিক্সা পার্কিং যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানো নামানো ও রাস্তার দুপাশে ফুটপাত দোকান বসায় এ যানজট লেগেই আছে জয়পাড়া ব্যস্ত সড়কে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থানার মোড় আঞ্চলিক মহাসড়কে সারিবদ্ধভাবে সিরিয়াল দিয়ে ইজিবাইক পার্কিং করে রাখেন চালকরা।ফলে রাস্তাটির অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল হওয়ার কারনে প্রতিদিন সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। চরম ভোগান্তিতে পরেন যাত্রী সহ সাধারণ পথচারীরা। প্রতিনিয়ত থানার মোড়ে ঘটছে যাত্রী ও ইজিবাইক চালকদের সাথে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতীর ঘটনা ঘটে। এসময় যানজট আরও তীর্ব আকার ধারন করে। মাঝে মাঝে পুলিশের তৎপরতা দেখা গেলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবার শুরু হয় একই চিত্র। এক যাত্রী জানান,আমরা যখন কোন অসুস্থ রোগী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে দীর্ঘক্ষনের যানজটের কারণে আরও আসুস্থ হয়ে পরেন সে রোগী।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, এমন পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত হচ্ছে অর্থাৎ প্রশাসন কোনো স্থায়ী সমাধান করছে না। আমাদের ভোগান্তী কি দেখার কেউ নেই।
এদিকে এমন ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন থানার মোড়সহ আশেপাশের ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, প্রশাসন যদি দ্রুত এই অবৈধ পার্কিং সরিয়ে না দেয় তাহলে আগামীতে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে।
এক পথচারী রায়হান বলেন, করোনার কারনে স্কুল কলেজ বন্ধ তার পরেও আমাদের যানজটের দূর্ভোগ পহাতে হয়। স্কুল কলেজ খুলে গেলে তখন আরো বেশি সমস্যার সম্মুক্ষিন হতে হবে আমাদের।
এক বাজার ব্যবসায়ী বলেন, কলেজ মোড়ে গাড়ি পার্কিং আয়োজনের সামনে গাড়ি পার্কিং এবং রাস্তার দুপাশে ফুটপাত দোকান থাকায় এ যানজট সৃষ্টি হয়।