জয়পাড়া পাইলটের ৯ ছাত্রকে টিসি

430

ঢাকার দোহার উপজেলার প্রধান বিদ্যাপীঠ জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির ৯ শিক্ষার্থীকে কোনো কারণ ছাড়াই ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রবেশপত্র থাকা সত্ত্বেও গতকাল থেকে শুরু হওয়া প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় তাদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। এদিকে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্নী হোসেন এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে অবৈধ ও অমানবিক বলে জানিয়েছেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ক্লাস শেষে জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ৯ শিক্ষার্থীকে ডেকে ছাড়পত্রের কাগজ হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে কী কারণে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হল তা জানায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর আগে ওইদিনই সকালে শিক্ষার্থীদের বেতনের সঙ্গে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার (চলমান) ফি আদায় করা হয়। দেওয়া হয় ১১ জুন থেকে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার প্রবেশপত্র। ছাড়পত্র পাওয়া শিক্ষার্থীরা হল, অষ্টম শ্রেণির মধুসূদন শাখার রেজুয়ান আহম্মেদ রাতুল ও রিফাত হোসেন, নজরুল শাখার মো. রায়হান আহমেদ দিপু ও মেহেদি হাসান টুটুল। এছাড়া সপ্তম শ্রেণির চামেলি শাখার আসিফ আহমেদ, বেলি শাখার মো. মোস্তাকিন, আল-আমিন ও পলাশ হোসেন এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পদ্মা শাখার সাগর হোসেন।
বিষয়টি শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের জানালে তারা শঙ্কিত হয়ে গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে যান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র দেওয়ার কারণ সম্পর্কে তাদেরকে কিছু বলা হয়নি। অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মোস্তাক আহম্মদ খন্দকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিজেকে জাহির করার জন্য এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা করে যাচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষক আলম সরদারের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় তিনি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগসাজশে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহম্মদ খন্দকার এ প্রতিবেদককে বলেন, গত এপ্রিল মাসে স্কুলের একটি টিনের বেড়া ভেঙে ফেলার অপরাধে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদিকে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্নী হোসেন এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে অবৈধ ও অমানবিক আখ্যা দিয়ে বলেন, রেজিস্ট্রেশনভুক্ত কোনো শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষমতা স্কুল কর্তৃপক্ষ রাখে না। কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা শিক্ষা বোর্ডে জানানোর নিয়ম। বোর্ডই একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

আপনার মতামত দিন