এক সময় মাঠে-ঘাটে, গাছে গাছে জাতীয় পাখি দোয়েলের বিচরণ চোখে পড়ত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্য অনেক পাখির মতো হারিয়ে যাচ্ছে দোয়েলও। পরিবেশ দূষণ, নির্বিচারে গাছ কাটা, জমিতে কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার, পাখির বিচরণ ক্ষেত্র ও খাদ্য সংকট পাখি বিলুপ্তির কারণ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, নতুন প্রজন্মের কাছে অচেনাই রয়ে যাবে এসব পাখি।
কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বলেন, এক সময় দোয়েল, কোকিলসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির পাখি গ্রামাঞ্চলের বিলে-ঝিলে, ঝোপে-ঝাড়ে, গাছের ডালে, বাগানে কিংবা বাড়ির আঙিনায় আসত। পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙত অনেকের। কিন্তু এখন আর শোনা যায় না পাখির কিচিরমিচির।
টিয়া, ঘুঘু, কাক, মাছরাঙা, ইত্যাদি পাখি বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেলেও জাতীয় পাখি দোয়েল তেমন এখন আর মানুষের চোখে পড়ে না।
দোহার উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের আলমাছ বলেন, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিলুপ্তির পথে। নতুন প্রজন্ম ওই পাখি দেখতে পায় না। আগে পাখির ডাক শুনে কিচিরমিচির শব্দে সকালে ঘুম ভাঙ্গত এখন সেই পাখির কিচিরমিচির ডাক শুনা দুষ্কর হয়ে পরেছে। বাড়ির উঠানে ও দেখা যেতে জাতীয় পাখি দোয়েল। এখন সেই পাখির দেখা মিলতে গেলে খুঁজে বের করতে হয়।
জয়পাড়া কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ রাসেল বলেন, ‘যেসব পাখির ডাক ও সুর মানুষকে মুগ্ধ করত, সেই পাখিই হারিয়ে যেতে বসেছে। বিশেষ করে দোয়েল পাখির এখন আর দেখাই মিলছে না।’
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোসাঃ শামীম নাহার এর কাছে জানতে চাই তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমাদের মধ্যে না এটা বন বিভাগের দায়িত্বে।
পরে বনকর্মকর্তা আব্দুল মুমিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা বন বিভাগে কাজ করি আমরা বন নিয়ে থাকি। এ বিষয়ের প্রাণী সম্পদ বিভাগের সাথে কথা বলুন। পূনরায় তার সাথে কথা বলেলে তিনি বলেন, আমরা শুধু ট্রিটম্যন্টের কাজ করি। তাই দোয়েল হারিয়ে যাচ্ছে সে বিষয় আমি কিছু বলতে পারতেছি না।