জাতি একজন বড় মাপের নেতা হারিয়েছে: সালমান এফ রহমান এমপি

203

সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার তৃতীয় ও চতুর্থ জানাযা নিজ এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযা শেষে তাকে তার পৈত্রিক নিবাস দোহারের শাইনপুকুরে দাফন করা হয়।
জানাযায় জনসাধারণের উপস্থিত ছিল স্মরণীয়। এসময় তার মরদেহে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ঢাকা -১ সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান এমপি পরে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

সালমান এফ রহমান উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন,আমরা দোহারে একজন জাতীয় বড় মাপের নেতাকে হারিয়েছি। তিনি ৪ বার এমপি ছিলেন, ছিলেন ৩ বার মন্ত্রী। তার কৃতকাজের জন্য দোহারবাসীর কাছে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের জন্য আল্লাহ সুবহানুতায়ালার নিকট প্রার্থনা করছি। তিনি আমার নিকট আত্মীয়। আপনাদের সকলের নিকট তার জন্য প্রার্থনার আবেদন করছি।

দোহার উপজেলার জয়পাড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা সন্পন্ন হয়েছে বিকেল ৫:৩০ মিনিট । আজ সোমবার ১১ টায় প্রথম ধানমন্ডির বাইতুল আমান মসজিদে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লাশবাহী এম্বুলেন্স কর্মস্থলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের দিকে ছুটে। সেখানে সারে ১২টায় দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

অন্য খবর  বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বক্সনগরে পনিরুজ্জামান তরুনের গণসংযোগ

গতকাল রাত ১০ টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ইন্তেকাল করেন। নাজমুল হুদার একান্ত সচিব আক্কাস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সাড়ে ১২টায় জানাযা হয়। পরে লাশ ঢাকার দোহারে তৃতীয় ও চতুর্থ জানাজার জন্য নিয়ে আসা হয়। সেখানে জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ আছর তৃতীয় এবং বাদ মাগরিব
৪র্থ জানাযা সরকারি পদ্মা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে সমাহিত করা হয়।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ব্যারিস্টার সিগমা হুদা এবং দুই কন্যা অন্তরা হুদা সামিলা ও শ্রাবন্তী হুদা আমিনাকে রেখে গেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার জন্ম ১৯৪৩ সালের ৬ই জানুয়ারি। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের দুটি নির্বাচনসহ ২০০১ সালে পরপর ৪ বার ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি ছিলেন দলের সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
২০১০ সালে তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। তখন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বহিষ্কৃত হলেও ব্যারিস্টার হুদা বিএনপির দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যান। ২০১১ সালের ৫ই এপ্রিল তার সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়া হয়। যদিও ২০১২ সালে ৬ই জুন নাজমুল হুদা নিজেই বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।

অন্য খবর  ১৩ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত দোহারের তিন ইউনিয়নের জনগণ

ওই বছরের ১০ই আগস্ট আবুল কালাম আজাদকে সমন্বয়ক করে গঠন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ)। ২০১৪ সালের ৭ই মে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি নতুন জোট গঠন করেন। একই বছরের ২১শে নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে নতুন দল গঠন করেন। ২০১৫ সালে নাজমুল হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে একটি নতুন দল গঠন করেন। আদালতের নির্দেশে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়।

আপনার মতামত দিন