দূরে থেকেও যে মানুষকে সেবা করা যায়, কাছে না থেকেও যে ভালোবাসার প্রতিদান দেয়া যায় তেমনি শামীমা রাহিম শিলা – দোহার উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে অনেকটা বিস্ময় নিয়েই দোহারের রাজনীতির মাঠে তিনি আসেন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি, মানুষকে আপন করার ক্ষমতা নিয়ে। সরকারি বরাদ্দের ছাড়াও নিজস্ব অর্থায়নে কল্যাণমুখী কাজ করেছেন। অনেক ঈদ করেছেন লন্ডনের পরিবার থেকে আলাদা থেকে এই দোহারে। তার উদ্যোগে দোহারের বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের বাসস্থান, স্বকর্মসংস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিয়ে অনুদান দেয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দীতা করেননি। কিন্তু তিনি ছিলেন জনগণের পাশে। পুরো রমযান মাস জুড়েই শামীমা রাহিম শিলা তার কর্মি-সমর্থকদের মাধ্যমে জনকল্যাণমুলক বিভিন্ন কাজ করে গিয়েছেন। রমজানের ২৫ তারিখে নারিশা উওর চকে বায়তুল আকসা নতুন জামে মসজিদে নারিশা উওর চকে বায়তুল আকসা নতুন জামে মসজিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্বিতীয় বারের মতো ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সহায়তা দেন।
রমযানে ২৩ তারিখে দোহারের মধুর চর গ্রামের বাসিন্দা প্রায় ১০০ বছরেরে সন্তান পরিত্যাক্ত বৃদ্ধার দায়িত্ব নেন শামীমা রাহিম শিলা। বেগম নামে সেই বৃদ্ধার স্বামী মারা গিয়েছে অনেক আগেই । নিজের নেই কোন ছেলে,মেয়ে । তাই দত্তক হিসেবে এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে আসেন । নিজের সবটুকু দিয়ে সেই ছেলে এবং মেয়ের জন্য সব করেছেন এই বৃদ্ধা । কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম অবিচার ! সেই পালিত ছেলে, মেয়ের দ্বারাই আজ সে সব চেয়ে অবহেলিত।
রমযানের ১২ তারিখে দোহার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এতিম ছাত্র ও মুসল্লিদের মাঝে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন দোহার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী মহিলাদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিসেস শামিমা_রাহিম_শিলা।
নিউজ৩৯কে এসব ব্যাপারে শামীমা রাহিম শিলা বলেন, দোহার উপজেলার মানুষের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে । দোহারের জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পেরে, আমার জনগণের সেবা করতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ । এই সেবার মাধ্যমেই আমি শ্রেষ্ঠ ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম । অর্জন করেছিলাম মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক । পদক কোন বড় বিষয় নয় বড় বিষয় হলো মানুষের সেবা করতে পেরেছি । শীলা বলেন আমি দীর্ঘ ৫ বছর এই উপজেলা বাসীর জনপ্রতিনিধি ছিলাম । তাই আমার নিজের দায়িত্ব কর্তব্য থেকে আমি মানুষের পাশে থাকি। আমি সদ্য বিদায়ি জনপ্রতিনিধি এটা ঠিক তবে আগে যেমন দোহার বাসীর পাশে ছিলাম আগামী দিনেও থাকবো ইনশাআল্লাহ্। তাদের ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই আরো অনেক দূরে । দোহার বাসীর জন্য রইল আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি সকলের দোয়া চাই।এই জনকল্যাণের মাধ্যমেই আমি বেঁচে থাকতে চাই দোহারবাসীর মাঝে।