সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘দেশ থেকে এখনো জঙ্গীবাদ নির্মূল হয়নি। জঙ্গীরা যেকোনো মূহুর্তে আবার মাথা চারা দিয়ে উঠতে পারে। এজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’ শনিবার দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বিগত সময়গুলোতে দেশের সমস্যার তালিকা করলে প্রথমে ছিল আইন-শৃঙ্খলা, দ্বিতীয় দ্রব্যমূল্য সর্বশেষ ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমানে দেশের সমস্যার কথা বলতে গেলেই প্রথমে মাদক, দ্বিতীয় মাদক এবং তৃতীয় মাদক।’

বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের প্রধান সমস্যা হলো মাদক। তাই দেশ থেকে মাদক নির্মূলে পুলিশের পাশাপাশি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এ সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এখন আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগই। সামনে নির্বাচন, দলের সকল কোন্দল শত্রুতা ভুলে মানুষের মন জয় করে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে না পারলে দেশের উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটবে। এমনকি দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তানে রূপান্তিত হতে পারে।’

অন্য খবর  দোহারে যুবলীগের নির্বাচনী প্রচারনা র‌্যালী,পথসভা ও প্রচারপত্র বিতরণ

এসময় দোহার-নবাবগঞ্জের মাদক সমস্যা নিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, এতদিন দেশের প্রধান সমস্যার তালিকায় ছিল প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা, দ্বিতীয় দ্রব্যমূল্য এবং তৃতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। সে সমস্যাগুলো আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় দেশ আজ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সারা বিশ্ব দেখছে বাংলাদেশের উন্নয়ন। দেশ থেকে মাদকও নির্মূল হবে তবে পুলিশের সঙ্গে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সেলের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ঝিলু’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ্ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, ‘ঢাকা জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে বর্তমানে খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। মাদক, সন্ত্রাস পুলিশের তৎপরতায় অনেকটা কমে এসেছে। তবে জিরো ট্রলারেন্সে আনার ক্ষেত্রে পুলিশের পাশাপাশি জনসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের একার পক্ষে এসব দমন করা সম্ভব নয়।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন, গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি সুবেদ আলী টিপু, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আ. বাতেন মিয়া, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান ফকু, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদিকা আনার কলি পুতুল, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম শিমু, ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, দোহার সার্কেল এএসপি মাহবুবুর রহমান, নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল, দোহারের ওসি শেখ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

আপনার মতামত দিন