জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দোহার-নবাবগঞ্জ ছাত্র কল্যান পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

248

১৫/০৪/২০২৩ রোজ শনিবার দোহারের বানাঘাট রোড সংলগ্ন অলিভ এন্ড ফিগ রেস্টুরেন্টে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দোহার নবাবগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ্ আল্ মাসুদ, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাকির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, জন্ত্রাইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ কে এম মনিরুজ্জামান তুহিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন , পদ্মা সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ইমরান হোসেন ও প্রভাষক মাসুদ রানা। ছাত্রকল্যাণের সাবেক সভাপতি মিথুন হোসেন জয় ও মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ও সৌরভ সরকার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট সাইদুর রহমান, আসিফ সজল ও অন্যান্য।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বর্তমান সভাপতি নুরালম আকন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুরে জান্নাত শ্রাবণ ও মোসাদ্দেক মুন্না।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমরা প্রতিবছর এইভাবে একসাথে ইফতার করি বলেই আমাদের মেলবন্ধন নির্মাণ হয়েছে। সাবেক বর্তমান ছাত্রছাত্রী একটি অভিন্ন জায়গা তৈরি হয়েছে।

সহযোগী অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, আগামীতে দোহার নবাবগঞ্জ থেকে ১০০ ছাত্রছাত্রী যেনো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পায় গাইড লাইন দিতে হবে। এই লক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাজ করতে হবে।

অন্য খবর  দোহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস অনুষ্ঠিত

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক বলেন, আমি যখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছিলাম তখন পায়ে৷ হেটে অনেক পথ পারি দিয়ে লঞ্চে করে যেতে হয়েছে। কালে ভদ্রে যেতাম। এখন রাস্তাঘাট হয়েছে, বাস হয়েছে বাড়ি থেকে যাওয়া আসা যায়।

নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান তুহিন বলেন, গতবছর আমি এসেছিলাম এবারও এক সাথে হতে পেরেছি খুবই ভালো লাগছে। সামনে আমারা আরো এমন আয়োজন করবো সবার কাছেই প্রত্যাশা।

ছাত্রকল্যাণের সাবেক সভাপতি মিথুন হোসেন জয় বলেন, করোনা কালে আমি যখন সভাপতি তখন দুই বছরে প্রায় ৩০০ প্লাস দরিদ্র মানুষকে ত্রান সামগ্রী দিয়েছি ছাত্রকল্যাণ থেকে। গতবছর সকল সাবেকদেরকে একসাথে করে বড় প্রোগ্রাম করেছি। এখন আমার ছাত্রকল্যাণ প্রতিষ্ঠিত।

সাবেক সভাপতি মনির হোসেন বলেন, সবাই আবার উপস্তিত হতে পেরেছি এর জন্য কৃতজ্ঞ। প্রতিষ্ঠা কালে আমরা হাতেগোনা কয়েকজন ছিলাম। এখন আমরা অনেক হয়েছি।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, ৭-৮ জনের গঠন করা সংগঠন আমার মনে আছে, আমি, মিথুন, মনির ভাই, সাদ ভাই, অমিত আরো কয়েকজন মিলে গড়েছিলাম। মাসুদ স্যার, জাকির স্যার সব সময় আমাদের পাশে ছিলেন।

অন্য খবর  ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগাযোগ কমিটিতে দোহারের আরমান হোসেন অপু

অনুষ্ঠানে সাবেক বর্তমান আরো অনেকেই নিজেদের স্মৃতি রোমন্থন করে। প্রতিবছর যেনো অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশা করেন।

আপনার মতামত দিন