ছাগল নিয়ে ঝগড়া :কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা

367

গরুর হাটে ছাগল নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে কেরানীগঞ্জে বাদল হোসেন (৫৮) নামে এক পশু ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে রহমতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়েছে হত্যাকারীরা।

পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত বাদল হোসেন কেরানীগঞ্জের আমিরাবাগের মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে।

নিহতের ভাতিজা মো. শরীফ জানান, ঈদে বিক্রির জন্য বাদল হোসেন আমিরাবাগে বাড়ির পাশে একটি জায়গায় বেশকিছু ছাগল তোলেন। প্রতিদিন সেখান থেকে ২-৩টি ছাগল নিয়ে জিনজিরা গরুর হাটে বিক্রি করেন তিনি ও তার ছোট ছেলে সজল।

শুক্রবার সকালে কয়েকটি ছাগল নিয়ে গরুর হাটে যায় সজল। দুপুরে বাসায় ফেরার সময় জিনজিরার কয়েক যুবক সজলের পথরোধ করে এবং চোরাই ছাগল কিনা জানতে চায়। এ নিয়ে সজলের সঙ্গে ওই যুবকদের ঝগড়া হয়।

খবর পেয়ে সজলের বড় ভাই স্বপন ঘটনাস্থলে গিয়ে ছোট ভাইকে ওই যুবকদের রোষানল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর যুবকরা জিনজিরা থেকে দলবল নিয়ে আমিরাবাগে এসে সজল ও স্বপনের খোঁজ করতে থাকে।

অন্য খবর  চল্লিশ দিন নামাজের উপহার জিতলেন ইউসুফপুরের কিশোররা

এ সময় তাদের না পেয়ে বাবা বাদল হোসেনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আসে। তাকে জিনজিরা রহমতপুরের একটি বাড়ির আঙ্গিনায় ঢুকিয়ে ভেতর থেকে গেট বন্ধ করে দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায় ও কিলঘুষি মারতে থাকে।

খবর পেয়ে বাদলের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলেও গেট বন্ধ থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এ সময় ভেতর থেকে বাদলে আর্তচিৎকার তারা শুনতে পায়।

একপর্যায়ে হত্যাকারীরা বাড়ির গেট খুলে বাদলকে নিয়ে স্থানীয় সাজেদা হাসপাতালে পৌঁছে। সেখান বাদলকে রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার বলেন, ইতিমধ্যে বেশকিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। যেখানে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা গেছে। ইতিমধ্যে আমরা হত্যাকারীদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি।

আপনার মতামত দিন