নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় চিরনিদ্রায় শায়িত খন্দকার আলী আব্বাস

492

ফারুক আহমেদ ♦ নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় চির নিদ্রায় শায়িত হয়েছেন প্রখ্যাত বামপন্থি নেতা ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, খন্দকার আলী আব্বাস। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভীড় করে প্রিয় নেতাকে শেষ বারের মতো দেখার জন্য। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি খন্দকার আলী আব্বাস গত বুধবার বিকাল ৪ টায় মিরপুর ডেলটা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া……….. রাজিউন)। মৃত্যুবরণ করার পর লাশটি মোহাম্মদপুর বাবর রোডে লাল মাটিয়া ব্লোকে নিয়ে তারাবি নামাজের শেষে জানাজা সম্পূর্ণ করা হয়।  জানাজার শেষে বারডেম হাসপাতালে মর্গে তার লাশ রাখ হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায়  নিহতের গ্রামের বাড়ি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার  শহীদ মিনার চত্বরে শ্রদ্ধানিবেদন শেষে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় নিকটততম আত্মীয়স্বজন, গ্রামের লোকসহ হাজার হাজার লোক জানাযায় শরীক হন।

সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি খন্দকার আলী আব্বাস (৬৬) দীর্ঘদিন যাবত ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মিরপুর ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি ছিল। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, আত্মীয়স্বজন ও হাজার হাজার নেতাকর্মী ও  শুভকাঙ্খী রেখে গেছেন।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে পূজামন্ডপে চাল বিতরণ

তার রাজনৈতিক জীবনে প্রথমে ন্যাপ ভাষানীর কৃষক সমিতি পরে সাম্যবাদীদলের সাধারণ সম্পাদক নিবার্চিত হন। এর পর ১৯৯২সালে ওয়ার্কার্স পার্টি, ইউনাইটেট কমিউনিষ্টলীগ ও সাম্যবাদীদলের ঐক্য প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য এবং জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ছিলেন। দোহার নবাবগঞ্জের ছিল প্রাণপ্রিয় নেতা।  তিনি ছিলেন আজীবন সংগ্রামী নেতা। শোষিত, নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের  জন্য সারা জীবন কাজ করে গেছেন। ক্ষমতার মোহ তাকে কোন দিনই র্স্পশ করতে পারেনি। নিজের জন্য কিছু না করে অপরের জন্য নিবেদীত প্রাণ ছিল।

তার মৃত্যুতে নবাবগঞ্জে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাব, বামপন্থি রাজনীতি সংগঠন, সামাজিক সংগঠনসহ সব স্তরের মানুষ ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন জানান।

আপনার মতামত দিন