শিশুশ্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের চালনাই’তে ইটভাটার মালিকরা শিশু শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ন কাজে ব্যবহার করছে। এই কাজে তাদের বাধা দিচ্ছে না কেউ। দেখার কেউ নেই এই অপরাধের।
১৯৯০ সালে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় চালনাই সড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠে এই তিন ইটের ভাটা। শুরু থেকেই ইটভাটাগুলো নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে।
বর্তমানে ইটভাটা গুলো বন্ধ থাকরেও ইট তৈরির মৌসুমে ৪টি ইটভাটায় কয়েক শতাধিক শিশু শ্রমিক ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাজ করছে। ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পারশ্রমিক দিয়ে ৫ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের কাজ করানো হচ্ছে ইটের ভাটায়। এই শিশুরা জানে না স্কুল কী।
সাত বছরের শিশু উজ্জল কাজ করে বিডিবি ইটের ভাটায়। তার বাবা মায়ের সাথে কথা বললে তারা জানান, লেখাপড়া তো করাতে চাই কিন্তু পয়সার অভাবে লেখাপড়া করাতে পারি না।
সায়মা নামের ৬ বছরের অপর এক শিশু সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিএনবি ইট ভাটায় কাজ করে তার মা বাবার সাথে। সে পায় ১০০ টাকা। তার কাজ ইট পোড়ানোর খোলার মধ্যে ইট সাজানো। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কোন মানুষ সেখানে এক মিনিটের বেশি থাকলে না পারলেও সায়মা সারাদিন খোলার পাশে থেকে ইট স্তুপ করে সাজায়।
দীর্ঘদিন এভাবে কাজ করতে করতে এসব শিশুদের গায়ের রং অনেকটা আগুনের মতো লালচে হয়ে গেছে।
শিশুশ্রমের ব্যাপারে বিডিবি ইটভাটার মালিক আব্দুল আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে তার নিজের ভাটার একদিকে কর্মরত শিশুদের দেখিয়ে দিলে তিনি বলেন, আমরা কাউকে স্কুলে যেতে নিষেধ করি না।
শ্রম আইন ২০০৬’র ২৮৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি কোন শিশু বা কিশোরকে চাকরিতে নিযুক্ত করিলে অথবা এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন শিশু বা কিশোরকে চাকরি করার অনুমতি দিলে, নগদ টাকাসহ কারাদন্ডে দন্ডিত হতে পারে’।