ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা কর্তৃক হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকার নবাবগঞ্জে সব ফার্মেসি বন্ধ করে রেখেছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার সব ফার্মেসি বন্ধ করে দেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে উপজেলা সদর, বাগমারা, কলাকোপা, বান্দুরা, কোমরগঞ্জ বাজারসহ প্রায় উপজেলার সব ফার্মেসি বন্ধ।
নবাবগঞ্জ উপজেলা (বিসিডিএস) বাংলাদেশ কেমিস্ট ড্রাগিস্ট সোসাইটি সূত্র জানায়, ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা নবাবগঞ্জের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এসে অযথা নানা ধরনের সমস্যা দেখিয়ে ২০/৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। টাকা নেওয়ার রশিদ চাওয়া হলে তারা বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে তারা দোকানদারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে আসছেন।
উপজেলার বাগমারা বাজারের এসএস ফার্মেসির মালিক মো. সবুজ বলেন, ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লোকেরা এসে অযথা আমাদের হয়রানি করে চাঁদা দাবি করে। এর প্রতিবাদে আমরা ফার্মেসি বন্ধ রেখেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা ওষুধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান ফারুক বলেন, ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কিছু লোক প্রতিনিয়ত ফার্মেসি থেকে চাঁদা আদায় করে। এর প্রতিবাদে আমরা ফার্মেসি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহীদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।
এদিকে, নবাবগঞ্জের সব ফার্মেসি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। ওষুধ কিনতে আসা সালেহা বেগম (৫০)জানান, তিনি শ্বাসকষ্টের রোগের ওষুধ কিনতে এসে দেখেন ফার্মেসি বন্ধ।