এসময়ের পর্যটন আকর্ষণ মৈনট
মৈনট, দোহার, ঢাকা

ফেসবুক আর বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষ জানতে পারি দোহারের মৈনট ঘাট বেড়ানোর জন্য একটি চমৎকার জায়গা। তাই ঘুরে এলাম মিনি কক্সবাজার মৈনট ঘাট। এর মধ্যে অনেক মানুষ ঢাকা থেকেও এখানে আসা শুরু করেছে কিন্তু এখানকার স্থানীয় আর সরকারী ব্যবস্থাপনা দেখে লজ্জা পেতে হয়।

ঘাস (কাশবন) দিয়ে ঘেরা একটি প্রসাবখানা, টিন বা পলিথিন দিয়ে একটি নামাজের স্থান, রোদ- বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য পলিথিন বা ঘাস দিয়ে একটি ছাউনি, এগুলোতো স্থানীয় মেম্বার বা ঘাটের ইজারাদাররাই করতে পারে। ঘাটের রাস্তাটি অত্যন্ত সরু, নেই গাড়ী পার্কিং এর সুব্যবস্থা আর পানিতে ডুবে মানুষ যেভাবে মারা যাচ্ছে তাতে ভয়ে এখানে কেউ আর আসতে চাইবে না।

নাগরদোলায় উঠতে গুনতে হবে জন প্রতি ২০ টাকা! স্পিড বোটে ঘোরার কথা জিজ্ঞেস করলাম, জানতে পারলাম প্রতি মিনিট ১০০ টাকা! অবশ্য একসাথে সর্বোচ্চ ৮ জন উঠা যাবে, নামকাওয়াস্তে চটপটি প্লেট ১০০ টাকা, হাফ প্লেট ৫০ টাকা।

৯০ এর দশক বা এর আগে যারা বান্দুরা – ঢাকা লঞ্চে যাতায়াত করেছেন তাদের অবশ্যই মনে আছে মরিচা, সৈয়দপুর, সাপের চর ইত্যাদি এলাকার হকার, নৌকার মাঝিদের আচরণার কথা। দোহার নবাবগঞ্জের মানুষ তাদের খারাপ মানুষ হিসেবেই জানতো। মৈনট ঘাটের ব্যবসাটা ঐ রকম হচ্ছে কিনা খেয়াল করতে হবে। লাভ কম করে বিক্রি আর সেবা বাড়াতে হবে। প্রতিদিন ডিম পেতে হলে হাস জবাই না করে এর যত্ন নিতে হবে। এজন্য প্রশাসনকে নিতে হবে জোরালো ভূমিকা।

অন্য খবর  ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাচনে লড়ছেন নবাবগঞ্জের রাশিম মোল্লা

লেখক: ইউনুস খান

আপনার মতামত দিন