ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুরে বাচ্চু মোল্লা (২৮) নামে এক যুবককে গণপিটুনি ও গলাকেটে নৃশংস ভাবে হত্যার ঘটনায় আব্দুস সোবহান (৫২) কে প্রধান আসামী করে ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহতের পিতা আব্দুস সালাম। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, কাজল হোসেন (২৪), মজিবর কবিরাজ (৫০) ও তার ছেলে সবুজ কবিরাজ (২৫)। আটককৃত কাজল উপজেলার মোসলেমহাটি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে ও মজিবর পাইকশা গ্রামের মতলব আলী কবিরাজের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত পৌনে ১০ টায় একাধিক মামলার আসামী বাচ্চু মোল্লা (২৮) কে গণপিটুনী ও পরে গলাকেটে হত্যাকে পূর্ব পরিকল্পিত অভিযোগ করে নিহতের পিতা আব্দুস সালাম আব্দুস সোবহানকে প্রধান আসামী করে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় দুপুরে বাচ্চু মোল্লার বন্ধু কাজল, মজিবর ও তার ছেলে সবুজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে বাচ্চু মোল্লার লাশ এলাকায় পৌছলে তার স্বজনরা হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে গালিমপুর, গোবিন্দপুর বাজার ও মুসলেমহাটি এলাকায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে।
এদিকে গ্রেফতারকৃত মজিবরের স্ত্রী জানায়, তার স্বামী এশার নামাজ পড়ে বাড়িতে ছিলো। এবং সে অসুস্থ্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেয়া হয়েছে বলে তার অভিযোগ। সোমবার রাত থেকেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকার লোকজন পুলিশের গ্রেফতার আতংকে বাড়ীঘর ছেড়েছে।
নিহত বাচ্চু মোল্লা উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের মোসলেমহাটি গ্রামের সালাম মোল্লার ছেলে। তার ১২ দিনের ১টি ছেলে সন্তান রয়েছে। নিহতের স্ত্রী আখি আক্তার জানান, কাজল হোসেন নামে এক লোক তাকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করায়। তাকে গণপিটুনী নয়, গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ করিম জানায়, বাচ্চু মোল্লার বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গতকাল সকালে নিহতের বাবা আব্দুস সালাম নবাবগঞ্জ থানায় ২৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। নবাবগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ নিউজ ৩৯-কে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিৎ করেছে।