গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়। প্রায় সর্বত্রই আগ্রাসন চালিয়ে নিরীহ নারী, পুরুষ এবং শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, গাজা শহরের শুজাইয়ার আশেপাশে ইসরায়েল নতুন করে অভিযান চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৬০ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2024/06/rashed-chokder-adha24-min.jpg)
এর আগে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, হাজার হাজার নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ গাজার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে যত মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। সেখানে প্রতিদিনই ছোট ছোট শিশুরা যুদ্ধের তাণ্ডবে প্রাণ হারাচ্ছে বা আহত হচ্ছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আনরোয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু একটি অথবা দুটি পা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। অভিযানের নামে প্রায় ৮ মাস ধরে গাজায় কমপক্ষে ৩৭ হাজার ৮৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন।
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2023/08/protiva-coaching-ad-primary-teacher-2023-min.jpg)