গতিশীল নেতৃত্ব ও মানবিক কার্যক্রমের জন্য নির্মল গুহ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন

63
গতিশীল নেতৃত্ব ও মানবিক কার্যক্রমের জন্য নির্মল গুহ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন

প্রায় বছর হতে চললো। চলে গিয়েছেন এই পৃথিবীর মায়া ছাড়া। কিন্তু মানুষের হৃদয়ে নির্মল রঞ্জন গুহের প্রতি যে ভালোবাসা তা চির অম্লান। দল মত নির্বিশেষে ছিলেন সকলের আপনজন, ভালোবাসার মানুষ। নিজবাড়িতে এখনো যেন কান পাতলে শোনা যায় তার দরাজ গলার মায়াবী ডাক। ২৯ জুন পূর্ণ হবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাহুল সাচ্চু বলেন, ‘নির্মল রঞ্জন গুহ স্বেচ্ছাসেবক লীগকে একটি শক্তিশালী ও জনবান্ধব সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মীর ন্যায় সজাগ ছিলেন। তার অকাল প্রয়ানে শুধু স্বেচ্ছাসেবক লীগই নয়, পুরো দেশবাসীই শোকাহত। তার গতিশীল নেতৃত্ব ও কার্যক্রমের ফলে তিনি আমাদের মাঝে চির অমলিন হয়ে বেঁচে থাকবেন।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, উপ দপ্তর সম্পাদক রাহুল দাস, ঢাকা জেলা দক্ষিন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহাবুব বেপারী, দোহার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক বাশার চোকদার, মিজানুর রহমান সহ ও আরো স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৯ জুন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গিয়েছিলেন। বড় ছেলে অনুপম গুহ নয়ন বর্তমানে ইংল্যান্ডে বার-এট ল পড়ছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ১২ জুন দিবাগত রাতে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নির্মল গুহকে। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। হার্টে দুটি ব্লক ধরা পড়লে সেখানে রিং বসানো হয়। তাতেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৬ জুন দুপুরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর থেকে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এর আগেও তিনি হার্টের সমস্যায় ভারতে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন নির্মল রঞ্জন। নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন আফজালুর রহমান।

আপনার মতামত দিন