ঢাকার দোহার উপজেলায় সরকারি খাল দখল করে বাড়ি-ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের গাজীরটেক এলাকায় পদ্মা নদীর শাখা এ খালটি এক সময়ে আড়িয়ল বিলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু অবৈধভাবে দখলের ফলে আড়িয়ল বিলের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
বর্ষার পানি নেমে গেলে পানি পঁচে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। তাতে মশার জন্মস্থানে পরিণত হয়। তা ব্যবহার করলে দেখা দেয় নানান পানি বাহিত রোগ। স্থানীয় বাসিন্দা আউয়াল খান জানান, এলাকার অনেক প্রভাবশালী লোক এ খাল দখলে উঠে পড়ে লেগেছে।
আবুল কালাম জানান, এ খাল দিয়ে এক সময়ে বড় বড় নৌকা চলাচল করতো। গয়না নৌকায় করে ঢাকায় লোকজন যাতায়াত করতো। বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদী থেকে পলি মাটি গিয়ে ফসলী জমিতে পরতো। এতে জমির উর্ব্বতা শক্তি বৃদ্ধি পেত। অবৈধ দখলের ফলে খালের অস্তিতই আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের গাজীরটেক এলাকায় পদ্মা নদীর শাখা দোহার খালের গাজীরটেক অংশে খাল দখল করা হয়েছে। ঐ স্থানে স্থানীয় মোবারক হোসেন, খোকন বেপারী, আজাহার বেপারীসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বাড়ি-ঘর নির্মাণ করছেন।
ছবি তুলতে দেখে দখলকারী মোবারক হোসেনের ছেলে রনি (২৩), খোকন বেপারীর ছেলে সাইফুদ্দিন বেপারী (২৫) এবং আজাহার বেপারীর ছেলে শাহাদাৎ (২৬) ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিককে বাধা দেয়। তাদের বক্তব্য, অন্যান্য দখলকারীদের উচ্ছেদ করে তারপর তাদের জায়গার ছবি নিতে হবে। দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহানারা বেগম জানান, ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।