খালেদা জিয়ার বিষয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ, এ বিষয়ে দেশের বাইরে কোনো হস্তক্ষেপ যুক্তিসংগত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোড সেফটি-বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলকে একটি চিঠি লিখেছেন। গত সোমবার তাঁরা ওই চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং চলমান সংকটের টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধানের জন্য বিএনপিসহ অন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনার কথাও বলা হয়। আজ সেই বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কারও অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করি না। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বাইরের হস্তক্ষেপ যুক্তিসংগত বলে আমরা মনে করি না। খালেদা জিয়ার ব্যাপারে এটাও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন বেগম জিয়ার ব্যাপারে তাঁর অসুস্থতা নিয়ে যতটা তাদের উদ্বেগ, তার চেয়ে মনে হয়, তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করাটাই এযাবৎ তাদের বড় চর্চা বলে মনে করি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই বিচার কার্যক্রম যখন শুরু হয়েছে, তখন অহেতুক বিলম্ব, প্রলম্বিত করা, অনুপস্থিত থাকা বিচারকার্যকে বিলম্বিত করেছে। তারা খালেদা জিয়ার জন্য কিছু করতে পারেনি এবং বাইরে তেমন কোনো আন্দোলন বাংলাদেশের রাজপথে করতে পারেনি যে তাতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টি আমাদের আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখছেন। তাঁরাই উচ্চপর্যায়ে কথা বলছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা কারও অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করি না। অন্যান্য দেশে ডেমোক্রেসি আছে, নির্বাচন হচ্ছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ জানুয়ারি ডেমোক্রেসির নামে যা হলো, আমরা তো সেটা নিয়ে প্রশ্ন করিনি। ছয়টি প্রাণ ঝরে গেল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবাই মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, বাস্তবে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিছু না কিছু ত্রুটি আছে। আমরাও আমাদের গণতন্ত্রকে পারফেক্ট বলব না। আমাদের গণতন্ত্রকে আমরা ত্রুটিমুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছি।’
বিএনপি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘গাজীপুরের নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি। বরিশাল ও খুলনায় নির্বাচন হলো। কক্সবাজারে নির্বাচন হলো, অত্যন্ত কঠিন জায়গা। আপনি কতটা জনপ্রিয়, প্রমাণ করতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে।