রাজধানী অদূরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার রোহিতপুর ইউনিয়নের চর সোনাকান্দা গ্রামটি যেনো একটি বিচ্ছিন্ন নগরী! গ্রামটি ঢাকা জেলার সর্বশেষ গ্রাম, যার চারো দিকে ঘিরে নদী। গ্রামের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে গ্রামে প্রবেশ করার একমাত্র রাস্তাটি জাগায় জাগায় ভাঙা হওয়ায় নৌকা ছাড়া কেরানীগঞ্জের মূল ভূখন্ড সোনাকান্দা, নতুন সোনাকান্দা বা পাশের সিরাজদিখান উপজেলার সৈয়দপুর, কুচিয়ামোড়া যেতে পারেনা এই এলাকাবাসী।
গ্রামের প্রায় ৯০ শতাংশ লোক কৃষি উপর নির্ভর হওয়ায় তাদের উৎপাদিত ফসল এবং শাক-সবজি বাজারজাত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। যাতায়াতের রাস্তাটি ভাঙা থাকায় বিকল্প রাস্তা হিসেবে নৌকা যোগে তাদের উৎপাদিত ফসল নৌকা বা ট্রলারে করে ধলেশ্বরী নদী পার হয়ে ট্রাকে করে শহরে নিতে হচ্ছে এতে তদের ভোগান্তির শেষ নেই। অথচ রাস্তাটি ঠিক থাকলে তারা সরাসরি জমি/ক্ষেত বাজারে সর্বরাহ করা যেতো। এতে করে তাদের সময় এবং খরচ উভয়ই সাশ্রয়ী হতো।
সরেজমিনে দেখা গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির ৭/৮ জায়গায় বিশাল বিশাল গর্ত হয়ে আছে এবং পুরো রাস্তাই ছোট ছোট খানাখন্দে ভরা। বাশের সাঁকো দিয়ে মালামাল নিয়ে যাওয়াতো দুরের কথা খালি হাতেও চলাচল করার উপযোগী। বিশেষ করে নারী এবং শিশুরা বেশী ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় এক যুবক আলমগীর হোসেন নিউজ৩৯কে বলেন, আমরা চরাঞ্চলের লোকজন সব সময়ই উপেক্ষিত, বহু কষ্টের পর গতবছর আমাদের গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার করে স্থানীয় সরকার। কিন্তু রাস্তাটি ঠিক হতে না হতেই বন্যার পানিতে আবারও ভেঙে যায় রাস্তাটি। ভাঙনের পরে ফের শুরু আমাদের কষ্টের পথচলা। এখন আমরা নৌকা ছাড়া ঘর থেকে বেড় হতে পারি না ও চলাচলও করতে পারিনা। আমরা কৃষি নির্ভর হওয়ায় আমাদের উৎপাদিত ফসল দ্বিগুণ খরচ এবং কষ্টে নৌকা যোগে বাজারজাত করতে হচ্ছে। সরকারি কোন সাহায্য না পেয়ে নিজেদের অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের দূরভোগ দূরীকরণের জন্য।
এ ব্যাপারে রুহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী নিউজ৩৯কে বলেন, বন্যার পানি এখনো শুকায়নি, পানি পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়ায় আপাতত রাস্তাটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই সর্বপ্রথম এই রাস্তাটি মেরামত করা হবে।