ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে মারবেল খেলায় ব্যাঘাত ঘটানোর জের ধরে কিছু দুর্বৃত্তের হামলায় হেলাল উদ্দিন (৫৫) নামে এক কৃষক গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও গত ৪ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত এক আসামিকে ধরে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, বাড়ির পার্শ্ববর্তী রাস্তায় মারবেল দিয়ে খেলছিল কিছু যুবক। পাশ দিয়ে কৃষক হেলাল উদ্দিন গরু নিয়ে পাশের পুকুরে গোসল করাতে যাচ্ছিলেন। এতে তাদের খেলায় ব্যাঘাত ঘটে বলে অভিযোগ করে। এসময় হেলাল উদ্দিনের সাথে যুবকদের কথা কাটাকাটি হয়। ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই যুবকরা হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী পারভিন বেগম ও মেয়ে হেলেনা আক্তারকে মারধর করে।
এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরো জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে টিকরপুর বাজারে দুধ বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন হেলাল উদ্দিন। এসময় আগলা পূর্বপাড়া গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা সিদ্দিক, ইদ্রিস, নয়ন, জাকির তার উপর হামলা চালায়। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হেলাল উদ্দিনের মাথা, পিঠ, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে পুলিশ জাকির হোসেন নামে একজনকে আটক করে পরে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কৃষক হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী পারভিন বেগম অভিযোগ করেন, মামলা দিতে থানায় গেলেও তারা বিভিন্ন তাল বাহানা করছেন। ঘটনার সাথে জড়িত জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আমাকে না জানিয়ে অজ্ঞাত কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা গরিব বলে কি বিচার পাব না?
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. সোহেল রানা বলেন, স্থানীয়ভাবে মিমাংসার মুচলেকায় বাদিকে জানিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।