কলাগাছ ফেলে নবাবগঞ্জে সড়কে ডাকাতি

755
কলাগাছ ফেলে নবাবগঞ্জে সড়কে ডাকাতি

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ‍উপজেলায় ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাকাত দল ৬ জনকে কুপিয়ে আহত করে। এছাড়া সংঙ্গে থাকা নগদ প্রায় ষাট হাজার টাকা ও পরনে থাকা প্রায় এক ভরি স্বর্ণাংকার এবং ৪টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) ভোরে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাহুতহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী আহত নাদিম মোল্লা বলেন, আমার ভাই খোকন মোল্লা একজন হার্টের রোগী। সে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিদেশে থাকতো। অসুস্থ থাকার ফলে সে দেশে এসেছে। বুধবার গভীর রাতে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পরে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নেই তাকে ঢাকা নিয়ে যাবো। যেহেতু রাত গভীর আর এসময় প্রাইভেটকার ও পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা ভোরের দিকে একটা অটোরিকশা করে বান্দুরা যাবো আর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়ি করে ঢাকা যাবো এমন সিদ্ধান্ত নিই। অবস্থা গুরুতর দেখে রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে আমরা রওনা হই। রাহুতহাটি এলাকার পারিবারিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আসার পর দেখতে পাই একটা কলাগাছ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সেজন্য আমি গাড়ি থেকে নেমে যখনই কলাগাছটি সড়াতে যাবো রাস্তার পাশে লুকিয়ে থাকা ৭-৮ জন মুখোশধারী লোক আমার উপর আক্রমন করে এবং চাপাতি দিয়ে হাতে কুপ দেয়। আর গাড়িতে থাকা আমার বোন, ভাবি, ভাইকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নগদ ৬০ হাজার টাকা, আমার বোন ও ভাবির গলার চেইন, কানের দুল এবং ৪ টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

অন্য খবর  সন্তান সচেতন করে গড়তে মায়ের ভূমিকাই বেশি;সালমা ইসলাম এমপি

পরে আমরা আহত অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতাল বান্দুরা মুক্তি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২জনকে ঢাকা পাঠানো হয়। আমরা এই ছিনতাইয়ের বিচার চাই।

আহতরা হলেন, শৈল্যা গ্রামের মৃত বিল্লাল মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লা (৬০) তার স্ত্রী রাহেলা বেগম (৩৫), ছেলে রায়হান মোল্লা (১৬), তার ভাই নাদিম মোল্লা (৪৫), বোন মনোয়ারা বেগম (৫০), ইজিবাইক চালক রাজু (৩০)।

এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। সকালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। খুব শীঘ্রই ছিনতাইকারীদেরকে ধরা হবে। আর এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত দিন