ঢাকার নবাবগঞ্জের উপজেলার বিভিন্ন জনসাধারণ ফেব্রুয়ারি মাসের ২০, ২১, ২২ তারিখে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে ৩৯ এর মধ্যে ৩০ জনই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ইতঃমধ্যে তারা আইসোলেশনে আছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও করোনাকে তোয়াক্কা না করার কারনে করোনার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এমনটা জানিয়েছে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শহিদুল ইসলাম
নবাবগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরও ১৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৭৯২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২১জন। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার রাতে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ জানান, গত ৩১ মার্চ ও ১ মার্চ ঢাকায় পাঠানো ৭৪ জনের নমুনা থেকে নয়নশ্রী ইউনিয়নে ২ জন, বান্দুরা ইউনিয়নে ৪, শোল্লা ১, শিকারীপাড়া ১, বারুয়াখালী ২, যন্ত্রাইল ২, আগলা১, গালিমপুর ২, বক্সনগর ১, কলাকোপা ইউনিয়নে ১ ও অন্যান্য-সহ নতুন করে আরও ১৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ১৮ জনের চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আক্রান্তর স্বজনদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে, মাস্ক পড়তে হবে। যে কোন ধরনের জনসমাগম প্রোগ্রাম বাদ দিতে হবে। এরকম সভা, র্যালি, ধর্মীয় ইবাদত, ঘুরতে যাওয়া, মেলা, বিয়ে, জন্মদিন এসব বাদ দিতে হবে। কোন রকম লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে আসতে হবে।