এবার মৌসুমী কসাইদের কদরও বেশি

930

আসিফ সজলঃ সারা দেশের ন্যায় দোহার-নবাবগঞ্জ-কেরানীগঞ্জে নেই পর্যাপ্তসংখ্যক পেশাদার কসাই। তাই প্রতিবারের ন্যায় এবারের ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির জন্য কদর বেড়েছে মৌসুমী কসাইয়ের। তবে এবারের রেট আগের চেয়ে বেশি। এরা বেশিরভাগ অন্যান্য পেশার লোক। কোরবানির ঈদে তারা বাড়তি আয়ের আশায় কসাই হিসেবে কাজ করেন।
এদের একজন দোহার উপজেলার দিনমজুর ওমর আলী। সারাবছর দিন মজুরি করলেও কোরবানির ঈদে হয়ে যান পুরোদন্তুর কসাই। ওমর আলী জানান, গড়ে দৈনিক ৫শ টাকা পান তিনি। তবে কোরবানির ঈদে তারা ৪ বন্ধু দিলে কসাইয়ের কাজ করেন। এ কাজে ঈদের ২ দিন একেকজন ৩/৪ হাজার টাকা করে আয় করেন। এই ঈদে এখন পর্যন্ত ৬টি গরুর অর্ডার নিয়েছেন তারা।
কেরাণিগঞ্জ উপজেলার চুনকুটিয়া এলাকার বাসিন্দা হাজী মজিবর হোসেন বলেন, ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছি। এখন কসাই পাচ্ছিনা। একজন কসাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি ১০ হাজার টাকা চান। তাই সাড়ে ৫ হাজার টাকায় অন্য লোক নিয়েছি। এখন চিন্তায় আছি তারা পারবেন কিনা?
নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা বাজার এলাকার পেশাদার কসাই আহমেদ জানান, তারা একত্রে ১২ জন কাজ করেন। ঈদের ২ দিনে ২৩টি গরুর অর্ডার নিয়েছেন। তারা এজন্য গরুর দামের শতকরা ১০ টাকা হারে মজুরি নিয়ে থাকেন। কখনো কখনো গরুর ওজন দেখেও মজুরি নির্ধারণ করা হয়।
তিনি আক্ষেপ করে জানান, মৌসুমী কসাইয়ের কারণে তাদের গুরুত্ব যাচ্ছে। ফলে যা পান, তাতেই কাজ করতে রাজি হতে হয় তাদের।
এদিকে, পেশাদার কসাই না পেয়ে মৌস‍ুমী কসাইয়ের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না অনেকে।
নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার এলাকার বাসিন্দা মুকুল মাহমুদ জানান, ২ দিন ধরে পেশাদার কসাই খুঁজে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন মৌসুমী কসাইয়ে ভরসা না পেয়ে নিজেরাই গরু জবাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আপনার মতামত দিন