পৃথিবীব্যাপী মানুষ এখন করোনাভাইরাসের আতঙ্কে। তাই এ সময়ে কোনো রাজনীতি নয়। আপনাদের ভালোবেসে আমার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি কাপড় পাঠিয়েছি। আপনারা জানেন, প্রতি বছর রমজান মাসের শেষদিকে আপনাদের সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতাম। এবার কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস নামক মহামারির কারণে উপস্থিত হতে না পারলেও আপনাদের কথা ভুলে যাইনি। আমার জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মাধ্যমে, আমার নিজস্ব অর্থে কেনা ঈদ উপহার আপনাদের জন্য পাঠিয়ে দিলাম।
শনিবার ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার লোকের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শাড়ি কাপড় বিতরণকালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন তিনি। এ সময় উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে এসব কথা বলেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।
এদিন জাতীয় পার্টির নেতারা সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির পক্ষ থেকে কলাকোপা, যন্ত্রাইল, বান্দুরা, নয়নশ্রী, শিকারীপাড়া, বারুয়াখালী ও জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে শাড়ি কাপড় বিতরণ করেন।
এ সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলাম বলেন, সারা বিশ্ব এখন করোনায় বিপর্যস্ত। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রতিটি জনপদের মানুষ যেন করোনাভাইরাস নামক মহামারির সংক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকেন। আপনারাও আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করবেন। আমার প্রিয় নবাবগঞ্জবাসী আপনাদের যে কোনো প্রয়োজনে আমি পাশে ছিলাম। আগামী দিনগুলোতেও পাশে থেকে এ জনপদের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে এখন করোনার মহামারি চলছে। আমাদের প্রতিবেশী ভারতের জনসাধারণও করোনা সংক্রমণে ভালো নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংক্রমণ রোধে রাত-দিন কাজ করে চলেছেন। তাই আমাদের সবাইকে এ সময়ে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের কাজ করতে হবে। তাহলে আমরা করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারব।
তিনি নবাবগঞ্জের সবাইকে অগ্রিম পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, করোনালীন এ সময়ে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের হাতে কোনো কাজ নেই। আমি জানি পরিবার-পরিজন নিয়ে আপনাদের চলতে কষ্ট হচ্ছে। আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এখন আমাদের মাঝে নেই। তিনি দোহার-নবাবগঞ্জবাসীকে অনেক অনেক ভালোবাসতেন। আপনারা জানেন, দেশের দুর্যোগময় সময়ে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়তেন আপনাদের জন্য- দোহার ও নবাবগঞ্জের মাটি-মানুষের প্রতি ভালোবাসার টানে। তিনিই আমাকে শিখিয়েছেন ও অনুপ্রাণিত করেছেন আপনাদের জন্য কাজ করতে, আপনাদের সবার সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াতে। আমি আছি তার দেখানো পথ ধরে, আপনাদের পাশে। দোয়া করবেন ও পাশে থাকবেন- এই প্রত্যাশা করি। আপনারা ভালো থাকুন।