দোহারের পরিবহন ব্যবস্থায় নগর আর আরামের নৌরাজ্য বন্ধে কেউ নিতে পারে নি কোন ব্যবস্থা। বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করলে সাময়িক সমাধান মিললেও দুই দিন পর আবার আগের অবস্থাতেই ফেরত যায় পরিবহন দুটি। ফলে এই দুই পরিবহনের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না দোহারের সাধারন মানুষ।
এই দুই পরিবহনের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগ হাজারো। এর মাঝে অন্যতম হলো এরা একে অন্যকে সাইড দেয় না। এই দৃশ্য প্রতিদিন দেখা যায় জয়পাড়া থেকে নারিশা পর্যন্ত রাস্তা। দুই পরিবহনের প্রথমে যেই পরিবহন থাকে সেই পরিবহনই সময় অপচয় করে ধীরে ধীরে চলতে চলতে সময়ের অপচয় করে। এক জন আরেকজনকে সাইড তো দেয় না উলটো মাঝে মাঝে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে সময়ের অপচয় ও যাত্রীদের দূর্ভোগ সৃষ্টি করে পরিবহন দুটি।
এই দুই পরিবহনের বিরুদ্ধে আরো একটি গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে পরিবহন দুটি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বাজে ব্যবহার ও হাফ ভাড়া না নেয়ার অভিযোগ। ২০১৯ সালে হাফ ভাড়া আইন পাশ হলেও এর কোন প্রয়োগ নেই দোহার-নবাবগঞ্জের পরিবহন সেক্টরে। কার্তিকপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া যমুনা ও দ্রুত পরিবহনের বিরুদ্ধে তো হাফ ভাড়া না নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মারধোর করার অভিযোগ আছে। একই অভিযোগ আছে এন মল্লিক পরিবহনের বিরুদ্ধেও। ফলে বাহ্রা থেকে কলেজে যাওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য হাফ ভাড়া না নেয়ার কারনে শিক্ষার ব্যয় যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি ভাবে কলেজ থেকে ঝরে যাওয়ার হারও বারছে। ঠিক একই কারনে প্রতি শুক্রবার চাকরি প্রার্থী বেকার যুবকদের খরচ যেমন বারছে ঠিক তেমনিভাবে দোহার-নবাবগঞ্জের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যয়ও বাড়ছে।
আরেকটি গুরুতর অভিযোগ এই দুই পরিবহনের বিরুদ্ধে তার একটি হলো অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন। ৫০ জনের সিটের বাসে নগর ও আরাম ছাদে সহ ১০০ জন নেয়ার রেকর্ডও আছে। এর বিরুদ্ধে নেই কোন ব্যবস্থা। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের কথা বলা থাকলেও নেই সেটার কোন প্রয়োগ।