যুগের পর যুগ ধরে একটি ব্রিজের অপেক্ষায় দিন পার করছে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের বাহেরচর ও শিকারীপাড়া ইউনিয়নের হাগ্রাদী গরীবপুর, নয়াডাঙ্গী ও চরবাগুরী গ্রামের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। ব্রিজের অভাবে এখনো নবাবগঞ্জের শিকারীপাড়া ও বারুয়াখালি ইউনিয়নের সাধারন মানুষ এখনো ব্যবহার করছে নৌকা। ফলে একদিকে যেমন দূর্ভোগে দুই ইউনিয়নবাসী অপরদিকে যাতায়াত ব্যবস্থাও উন্নত হচ্ছে না দুটি ইউনিয়নের।
শিকরীপাড়া ইউনিয়ন ও বারুয়াখালী ইউনিয়নকে পৃথক করছে ইছামতি নদী। একপাড়ে বারুয়াখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রাম অন্যপাড়ে হাগ্রাদী ও গরীবপুর গ্রাম। কারো হয়তো জীবনের স্বপ্ন ছিল কোন একদিন এখানে ব্রিজ হবে এবং তারা এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করবেন। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। এই গ্রামগুলোর সাধারণ মানুষ বছরেন পর বছর নৌকায় পাড় হয়ে বারুয়াখালী হাট করতেন। এখনো তাদের কাঙ্ক্ষিত ব্রিজটি সম্পন্ন হয়নি।
নদীর ওপারে যদি একবার নৌকা চলে যায় এবারে আসার জন্য কখনো কখনো আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। কখন আসবে পারাপারের নৌকা। স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ জনগণ বাজার করতে নদীর এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করে থাকেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য। বাহেরচর গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা নদী পাড় হয়ে হাগ্রাদী গ্রামের দুইটি কিন্ডারগার্ডেন স্কুল, শিকারীপাড়ায় একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে। শিশু শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড় হতে হয়। নদীর দু’পাড়ের ঢাল অনেক উঁচু। মানুষের নদী থেকে উপরে উঠতে অনেক কষ্ট করতে হয়। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের কষ্ট হয় অনেক বেশি। এলাকার মানুষের অনেক আবেদনের পরও কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। কবে হবে তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন কবে পাবে একটি ব্রিজ যেখান দিয়ে অবাধে চলাচল করবে তারা অপেক্ষা করতে হবে না নৌকার জন্য ঝুঁকি থাকবেনা শিশুদের ছোট ছোট কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের।
আলাউদ্দিন নামের একজন কাঁচামালের ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন সকালে মাথায় কাঁচামালের বোঝা নদী পাড় হয়ে হাগ্রাদী বাজারে যাই, অনেক কষ্ট হয় আমাদের।
হাগ্রাদী গ্রামের বাসিন্দা সাহেদ আলী বলেন, আমার বাপ দাদারা নদী পাড় হয়ে বারুয়াখালী হাটে যেত আমরাও এখন দাদা হয়েছি কিন্তু একটি ব্রিজ পাইনি। দুই ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থান হওয়াতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নজর পড়েনি কখনো বা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।
তবে বারুয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নতুন উদীয়মান আওয়ামী লীগ নেতা জনাব এম এ বারী বাবুল মোল্লা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে ইছামতী নদীতে ব্রিজটি করে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন। জনসাধারণ সরকারের প্রতি দাবী করে দ্রুত ব্রিজটি করে দেয়ার অনুরোধ করেন।