ঈদে একে অপরকে উপহার দিতে দেখা যায়। এটি ইসলামের উত্তম শিষ্টাচার। উপহার বিনিময় যেকোনো সম্পর্কের সুন্দরতম দিক। উপহার পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় ও সুন্দর রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। উপহার বিনিময়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও টান বৃদ্ধি পায়। নবী (সা.) সাহাবিদের উপহার আদান-প্রদানের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। অনেক ক্ষুদ্র উপহারও গ্রহণ করতেন তিনি। তাঁকে কেউ উপহার দিলে তিনিও তাকে প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করতেন।
হাদিসে উপহারদাতার সামান্য উপহারকে তুচ্ছ মনে করতে নিষেধ করা হয়েছে। তেমনিভাবে উপহার গ্রহীতাকেও উপহারদাতার উপহারকে তুচ্ছ মনে করতে নিষেধ করা হয়েছে। বরং উপহারদাতার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে উৎসাহিত করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যদি আমাকে হালাল পশুর পায়া বা হাতা খেতে ডাকা হয়, তবু তা আমি গ্রহণ করব আর যদি আমাকে পায়া বা হাতা উপহার দেওয়া হয়, আমি তা গ্রহণ করব।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার বিনিময় করো, তোমাদের পারস্পরিক মহব্বত সৃষ্টি হবে।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৫৯৭) আম্মাজান আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) উপহার গ্রহণ করতেন এবং তার প্রতিদানও দিতেন। (বুখারি)
জাবির (রা.) বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যাকে কোনো উপহার দেওয়া হয়েছে, সামর্থ্য থাকলে সে যেন তার প্রতিদান (উপহারের বিনিময়ে উপহার) দেয়। আর যদি সামর্থ্য না থাকে তাহলে সে জন্য যেন তার প্রশংসা করে। যে (উপহারের বিনিময়ে) উপহারদাতার প্রশংসা করে সে তার শোকর আদায় করে। আর যে তা (উপহারের কথা) লুকিয়ে রাখে, সে তার প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। (আবু দাউদ)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক